কলারোয়া উপজেলা আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের উদ্যোগে শিক্ষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের উদ্যোগে শিক্ষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় কলারোয়া সরকারি কলেজ অডিটোরিয়ামে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে ফেডারেশনের উপজেলা সভাপতি অধ্যক্ষ আশফাকুর রহমান বিপু’র সভাপতিত্বে
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্য পেশ করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের অন্যতম সদস্য, বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সাতক্ষীরা জেলার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ।
অধ্যাপক তৌহিদুর রহমান ও অধ্যাপক মহিদুর রহমানের যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য পেশ করেন আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন সাতক্ষীরা জেলার সভাপতি সাতক্ষীরা সিটি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, ফেডারেশনের সাতক্ষীরা জেলার মাদ্রাসা শিক্ষা পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা সেক্রেটারি মাওলানা ওসমান গনি, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী মাওলানা কামরুজ্জামান, মাওলানা শহিদুল ইসলাম, ইবতেদায়ী শিক্ষক পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল হামিদ।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন কলারোয়া সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক, আদর্শ শিক্ষক পরিষদ কলারোয়া উপজেলা কলেজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মশিউল আজম, সেক্রেটারি রেজওয়ান কবির, সাতক্ষীরা সিটি কলেজের অধ্যাপক ড. আব্দুল আজিজ মল্লিক, অধ্যাপক ইউনুস আলী বাবু, কলারোয়া আলিয়া মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আহমাদ আলী, যুগিখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মোঃ নজরুল ইসলাম, রায়টা সবুজবাগ প্রাথমিক বিদ্যালয় এর মোঃ মুজিবুর রহমান, কলারোয়া প্রি-ক্যাডেট স্কুলের মোঃ মইজুদ্দিন প্রমুখ।
এ সময় প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ তার বক্তব্যে বলেন, আমরা সুন্দর একটা দেশ চাই, সুন্দর সমাজ চাই, সুন্দর প্রজন্ম চাই। আমরা শান্তি চাই, আর এই শান্তি খুজঁতে গিয়ে নিজেরা নিজেদের মতো শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরী করেছি। কিন্তু সে শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের শান্তি দিতে পারেনি। নিজেদের মতো চলনবলন তৈরী করেছি, শান্তি আসেনি বরং প্রকৃত যিনি শান্তিদাতা বিধানদাতা তাকে ভুলে গেছি। আমরা নৈতিক তথা ধর্মীয় শিক্ষার সাথে সাধারন শিক্ষার সমন্বয় ঘটিয়ে একজন মানবিক মানুষ তৈরী করতে চাই। আমাদের পেশা নবুয়তী পেশা।
আমার এমন একটা পদ্ধতি চালু করতে চাই যেখানে ইনসাফ চালু হবে। আর ইনসাফ চালু করতে হলে সৎ মানুষকে নেতা নির্বাচন করতে হবে। এ জন্য শিক্ষক সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। আপনারা আপনাদের শিক্ষার্থীদের যে যে ধর্মের অনুসারী তাকে সেই ধর্মীয় নৈতিকতা শিক্ষা দিবেন। কারন একজন ধার্মিক নিঃসন্দেহে অধার্মিকের চেয়ে অনেকবেশী নৈতিকতা সম্পন্ন। আমরা সকলে একসাথে এগিয়ে গেলে একটি আদর্শ নৈতিক সমাজ তৈরী হবেই, ইনশাআল্লাহ। মনে রাখা উচিত আমাদের পেশা নবুয়তী পেশা।
সভায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কিন্ডার গার্টেন, আলিয়া মাদরাসা, কওমী মাদরাসা ও কলেজের ৫ শতাধিক শিক্ষক অংশ নেয়।