মার্কিন প্রেসিডেন্ট যেই হোক সম্পর্কের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ হবে না: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলা হ্যারিস বা ডোনাল্ড ট্রাম্প যে-ই বিজয়ী হোক না কেন তা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো চ্যালেঞ্জ হবে না জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, আমেরিকার ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান দুই দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গেই প্রধান উপদেষ্টার সম্পর্ক ভালো।

শনিবার রাজধানীর এফডিসিতে মার্কিন নির্বাচনের প্রভাব নিয়ে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শফিকুল আলম বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিক দুই পার্টিরই সিনিয়র লিডারদের সাথে খুব ভালো সম্পর্ক। তার বন্ধু দুই দলের মধ্যেই আছে। সম্পর্ক অনেকখানি নির্ভর করে ব্যক্তিগত অ্যাটাচমেন্টের ওপর। ড. ইউনূস একজন গ্লোবাল লিডার। তাই মার্কিন নির্বাচনে কমলা হ্যারিস বা ডোনাল্ড ট্রাম্প যে-ই বিজয়ী হোক না কেন, আমাদের সম্পর্কের কোনো চ্যালেঞ্জ হবে না।` তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের (বাংলাদেশের) সম্পর্ক ভালো। আমরা চাচ্ছি তাদের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক বজায় থাকুক। বাংলাদেশে যে অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থান হয়েছে তাতে আমরা সারা বিশ্বের সাপোর্ট পেয়েছি। পতিত স্বৈরাচার সরকারের সঙ্গে ভারত থাকা সত্ত্বেও কোনো কাজে আসেনি। জনগণ জেগে উঠলে কোনো অপশক্তিই টিকে না।’ বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উল্লেখ করে প্রেসসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নয়জন সংখ্যালঘু মারা যাওয়ার বিষয়ে যে রিপোর্ট দিয়েছে, তা বিশ্লেষণ করলে বুঝা যায় এখানে রিলিজিয়াস মোটিভিশনের চাইতে পলিটিক্যাল অ্যাফিলিয়েশন বা অন্য কোনো কারণ ছিল। লবিস্টরা হয়তো এ বিষয়ে প্রভাব বিস্তার করেছে। বাংলাদেশে কোনো সংখ্যালঘু নির্যাতন হয়নি।’ ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের বক্তব্য ভোটের রাজনীতির কৌশল। যেহেতু কমলা হ্যারিস ভারতীয় বংশোদ্ভূত। আমেরিকায় অবস্থানরত ভারতীয়রা বেশিরভাগই কমলাকে সমর্থন দেওয়ায় ট্রাম্প ভারতীয় হিন্দুদের সহানুভূতি পাওয়ার জন্য এই ধরনের মন্তব্য করেছেন। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র আয়োজনে ‘আগামী মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোন প্রভাব ফেলবে না’ শীর্ষক ছায়া সংসদে গ্রীন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বিতার্কিকদের পরাজিত করে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বিতার্কিকরা বিজয়ী হন।

প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন প্রফেসর ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, প্রফেসর ড. এ কে এম মাজহারুল ইসলাম, সাংবাদিক নুরুল ইসলাম হাসিব, আশিকুর রহমান অপু ও মো. আতিকুর রহমান। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।



মন্তব্য করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *