সরকারের সংস্কার উদ্যোগে পূর্ণ সমর্থন জার্মান রাষ্ট্রদূতের
বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রস্টার আজ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এবং এর সংস্কার উদ্যোগের প্রতি তার দেশের পূর্ণ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
গতকাল ২৮ নভেম্বর, ২০২৪ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক চমৎকার এবং দীর্ঘস্থায়ী।’
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত জার্মানির উন্নয়ন সহযোগিতা বিশেষ করে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পে ক্লাইমেট অ্যাকশন, সবুজায়ন, কারিগরি প্রশিক্ষণ এবং কাজের পরিবেশ উন্নত করার বিষয় তুলে ধরেন।
পররাষ্ট্র সচিব দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে অভিহিত করেন এবং বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের জন্য সন্তোস করেছেন।
তিনি বাংলাদেশ শ্রম আইন ও ইপিজেড শ্রম আইনের সংশোধনসহ শ্রম খাতের উন্নতির জন্য বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, সমগ্র শাসনব্যবস্থায় জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এবং গণতন্ত্রের পথে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে অন্তর্র্বর্তী সরকার ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে।
পররাষ্ট্র সচিব দীর্ঘদিন ধরে জার্মান ভিসা পেতে শিক্ষার্থীদের সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।
জবাবে জার্মান রাষ্ট্রদূত স্টুডেন্ট ভিসার আবেদনের জট দূর করতে দূতাবাসে জনবল বৃদ্ধিসহ সম্ভাব্য সব ধরনের প্রচেষ্টা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে সাম্প্রতিক নজিরবিহীন বন্যার কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্র সচিব জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় জার্মানির সহায়তার প্রশংসা করেন।
তিনি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের জন্য জার্মানির সমর্থনের প্রশংসা করেন এবং নিউইয়র্কে গত জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা কর্তৃক আহ্বান করা রোহিঙ্গাদের বিষয়ে শিগগিরই সকল অংশীজনদের নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তারা নিয়মিত দ্বিপাক্ষিক আলোচনা, সফর বিনিময় এবং শিক্ষাগত সহযোগিতার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
সূত্র: বাসস