রাজশাহীর বিদায়

ঢাকাকে হারিয়ে প্লে অফে খুলনা

জিতলে প্লে অফের টিকিট, আর হারলে বিদায়- এমন সমীকরণ মাথায় নিয়ে আজ মাঠে নেমেছিল খুলনা টাইগার্স। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচেও চাপ সামলে ব্যাটে-বলে বাজিমাত করেছে টাইগার্সরা। বল হাতে রীতিমতো আগুন ঝড়িয়েছেন হাসান মাহমুদ। আর ছোট লক্ষ্য তাড়ায় অপরাজিত ফিফটিতে দলকে সহজ জয় এনে দিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ।

৬ উইকেটের জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ করল খুলনা। সমান ১২ পয়ন্ট দুর্বার রাজশাহীরও। তবে নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় শেষ চারের টিকিট পেল খুলনা। এলিমিনেটরে টাইগার্সদের প্রতিপক্ষ হতে পারে রংপুরা রাইডার্স অথবা চিটাগাং কিংস।

মিরপুরে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৩ রান সংগ্রহ করেছে ঢাকা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৭ বলে ৫৮ রান করেছেন তানজিদ তামিম। জবাবে খেলতে নেমে ১৬ ওভার ৫ বলে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় খুলনা।

১২৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই নাঈম শেখকে হারায় খুলনা। ইনফর্ম এই ব্যাটার এদিন ২ বল খেলে ডাক খেয়েছেন। সুবিধা করতে পারেননি আফিফ হোসেনও। তিনে নেমে রানের খাতা খুলার আগেই সাজঘরে ফিরেছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার।

১৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে যখন ধুঁকছে খুলনা তখন দলের হাল ধরেন মিরাজ। অ্যলেক্স রসকে সঙ্গে নিয়ে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৬৮ রান তুলেন মিরাজ। তাতে জয়ের ভিত পায় খুলনা। রস ২২ রান করে বিদায় নিলেও এক প্রান্ত আগলে রেখে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করেছেন অধিনায়ক।

৫৫ বলে অপরাজিত ৭৪ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন মিরাজ। এই ইনিংস খেলার পথে ৩৩ বলে স্পর্শ করেছেন ব্যক্তিগত ফিফটির মাইলফলক।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল ঢাকা। বিশেষ করে তানজিদ হাসান তামিম শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ১৮ রান তোলেন এই ওপেনার। তবে আরেক প্রান্তে লিটন দাস বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।

১০ রান করে লিটন ফিরলে ভাঙে ২৯ রানের উদ্বোঢনী জুটি। এরপর হাবিবুর রহমান সোহান ও ফরমানুল্লাহরাও দ্রুত সাজঘরে ফিরেছেন। তাদের ব্যর্থতার মাঝেও এক প্রান্তে ঝড় তোলেন তামিম। ৭ ছক্কায় ২৮ বলে স্পর্শ করেন হাফ সেঞ্চুরি। এরপর অবশ্য আর বেশি দূর এগোতে পারেননি। ৩৭ বলে ৫৮ রানে থেমেছেন এই ওপেনার।

তামিম ফেরার পর ধস নামে ঢাকার ব্যাটিং লাইনআপে। থিসারা পেরেরা, রিয়াজ হাসান কিংবা রহমত আলিদের কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। শেষদিকে সাব্বির রহমান একাই চেষ্টা করেছেন। তার ১৭ বলে ২০ রানের সুবাদে শেষ পর্যন্ত সম্মানজনক সংগ্রহ পেয়েছে দল।



মন্তব্য করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *