কলারোয়ার কাজিরহাটে ট্রাক থামিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কাজিরহাটে ট্রাক থামিয়ে খাজনার নামে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ আছে সাতক্ষীরার বিভিন্ন বাজার থেকে ছেড়ে যাওয়া কাঁচা সবজি বোঝাই ট্রাক থামিয়ে বিভিন্ন অংকের চাঁদা আদায় করছেন কাজিরহাট বাজার কমিটির সদস্যরা। সংশ্লিষ্ট হাটে বিক্রিত পণ্যের খাজনা আদায়ের নিয়ম থাকলেও নিয়মের তোয়াক্কা না করে সাতক্ষীরার অন্যান্য বাজার থেকে কাঁচা সবজি বোঝাই করে ছেড়ে যাওয়া ট্রাক থামিয়ে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। ভুক্তভোগী (যশোর-ন-১১-১৫২৫) নং গাড়ির চালক মো: কুদ্দুস জানান, ‘শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা ইউনিয়নের সনকা বাজার থেকে পটল লোড করে ঢাকা বাইপাইলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। পথিমধ্যে কলারোয়া উপজেলার কাজিরহাট বাজার পার হয়ে ঠাকুরবাড়ির কাছে একটি ফাকা জায়গায় কালভার্টের উপর দাড়িয়ে থাকা ৬ থেকে ৭জন ব্যক্তি গতিরোধ করে গাড়ি থামিয়ে কাজিরহাট ইজারাদার আব্দুস সাত্তারের লোক পরিচয় দিয়ে আমার কাছে এক হাজার দুইশত টাকা দাবি করে। কি কারণে টাকা দিতে হবে তা জানতে চাইলে তারা জানায় খাজনা বাবদ এক হাজার দুইশত টাকা দিতে হবে। না দিলে ট্রাক নিয়ে যেতে দেবে না’। ভুক্তভোগী গাড়ি চালক আরো জানান, ‘তাদেরকে টাকা দিতে অস্বীকার করলে তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। পরে আমি ব্যাপারির সাথে তাদের কথা বলিয়ে দিলে কিছুক্ষণ পরে আমার গাড়ির ছবি তুলে রেখে ছেড়ে দেয়’। ঘোনা ইউনিয়নের সনকা বাজারের পটলের ব্যাপারী মো: বিল্লাল হোসেন জানান, ‘আমাদের বাজার থেকে পটল লোড করে ড্রাইভার মো: কুদ্দস কাজিরহাট বাজার পার হওয়ার পর তার গাড়িটি আটকে দিয়ে ছোট গাড়ি বাবদ এক হাজার দুইশত টাকা খাজনা দাবি করে। আমার ড্রাইভার আমার সাথে তাদের কথা বলিয়ে দিলে তারা জানায় ত্রিশ লাখ টাকা দিয়ে বাজার ইজারা নেওয়া। অধিকাংশ গাড়ি সাইট থেকে লোড করে চলে যাচ্ছে এতে আমাদের লোকসান হচ্ছে। এজন্য এসব গাড়িগুলো রাস্তায় আটকিয়ে খাজনার টাকা আদায় করছি’। ট্রাক থামিয়ে চাঁদা দাবির বিষয়ে কাজিরহাট বাজার কমিটির সেক্রেটারি মো: নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মো: আব্দুস সাত্তার বিদেশ থেকে এসে ২৪শের গণঅভ্যুথানের পর বাজারের ইজারা তাদের দখলে নিয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিভিন্ন গাড়ি থামিয়ে খাজনার নামে চাঁদা আদায় করছে। এতে প্রশাসন ম্যানেজ করতে সহযোগীতা করছে আব্দুস সামাদ দালাল ও আব্দুর রহিম দালাল। এতে আমার কোন করণীয় নেই। আমি তাদের এহেন কর্মকান্ডে নিরুপায়’। বাজারের ইজারাদার মো: আব্দুস সাত্তার মোড়লের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে শনিবার সন্ধ্যায় একাধিবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এমন ধরনের কোন অভিযোগ আমার কাছে নেই। ঘটনাস্থলে এখন যদি কেউ থাকে তাহলে ফোর্স পাঠিয়ে এক্ষুনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে’। তিনি আরো বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।



মন্তব্য করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *