কলারোয়ায় ইরি- বোরোর বাম্পার ফলন!! কৃষকের মুখে হাসি

কলারোয়ার মাঠে মাঠে ইরি-বোরো ধান চাষ ও আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে । সারা উপজেলা ইরি- বোরো ধানের চারা পরিচর্যা করা শেষ । সবুজ মাঠে সাদা শীষ বের হতে শুরু করেছে। এখনো ধানের শীষের পরিপূর্ণতা লাভ করেনি । যেন সবুজের মাঝে সোনালী রঙের ঝলকানিতে মন ভরে যায়। ইতিমধ্যে কিছু মাঠে ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। সোনালী ধানে কৃষকের আঙ্গিনা ভরতে শুরু করেছে। চাষীরা বিচলী থেকে ধান ছাড়ানোর সব ব্যবস্থা। কদিন পরে কলারোয়া উপজেলার সর্বত্র পুরোদমে ধান কাটা শুরু হবে। মাঠে ধানের শীষের সাথে সাথে কৃষকের মনও দুলছে । এবার ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে নবান্নের হাসি ফুটে উঠেছে ।কটা দিন পরে নতুন ধানের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠবে কৃষকের বাড়ীর আঙ্গিনা।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছে কৃষকরা। এই মৌসুমে উপজেলায় ইরি – বোরো ধানের লক্ষমাত্রা ছিল ১২ হাজার ৬ শত ৬০ হেক্টর জমি। অর্জিত হয়েছে ১৩ হাজার ৮ শত ৭০ হেক্টর জমি। এবার মোট ৮০ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে । যার গড় উৎপাদন দাঁড়াবে হেক্টর প্রতি ৬ মেট্রিক টন। এ বছর উপজেলার বিভিন্ন মাঠে ১২টি জাতের ধানের চাষ হয়েছে। কূষকরা আশা করছেন আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে অথবা চলতি মাসের শেষের দিকে তাদের কাঙ্ক্ষিত সোনালী ধান ঘরে তুলতে পারবেন।
উপজেলার কুশডাঙ্গা ইউনিয়নের শাকদাহ গ্রামের ধানচাষি আবদার মোড়ল জানান, এবার ৩ বিঘা জমিতে ইরি ধানের চাষ করেছি । এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানও খুব ভাল হয়েছে। প্রতিটি ধানের শীষ ক্ষেতে সোনার মত জ্বলছে। বাজারে ভাল দাম পেলে লাভবান হতে পারবো। একই ইউনিয়নের কলাটুপি গ্রামের চাষী নায়েব আলী জানান ,এবার ৫ বিঘা জমিতে ধানের চাষ করেছি । ভাল ফলন হবে বলে আশা করছি। এবার ভাল দাম পাব বলে আশা করছি।
একই এলাকার বর্গাচাষি নূর হোসেন জানান, প্রতিবেশীর থেকে দেড় বিঘা জমি বর্গা নিয়ে হাইব্রিড ধানের চাষ করেছি । এই মাঠে আমার মতো ধান কারো ফলেনি। বিঘায় ২০/২৫ মন ধানের আশা করছি। প্রতিদিন ক্ষেতে আসি আর ধান কাটার স্বপ্ন দেখি। এবার ধানের বাজার ভাল পেলে বাকি দিনগুলি মোটামুটি ভালভাবে কাটবে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পোকার উপদ্রুপ ছাড়াই কৃষক ধান ঘরে তুলতে পারবে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কৃষকের মাঝে গিয়ে নানা পরামর্শ দিচ্ছেন। আশা করি, এসব ধানে এবার বাম্পার ফলন হবে। বাজারে ধানের দাম ভাল পেলে কৃষকের শতভাগ স্বপ্ন পূরণ হবে।
