সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় কালের কণ্ঠের সাংবাদিক টিপুকে কারাদণ্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। একটি ভবন নির্মাণকাজের অনিয়মের তথ্য চাওয়াকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জেরে কালের কণ্ঠের সাংবাদিক টিপুকে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১২টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে ‘সাতক্ষীরা সাংবাদিক সমাজ’ ব্যানারে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জীর সভাপতিত্বে এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির সাংবাদিক আবুল কাশেমের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন – সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, মমতাজ আহমেদ বাপী, আরটিভির রাম কৃষ্ণ চক্রবর্তী, মানবাধিকারকর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত, দেশ টিভির শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন, বাংলা ভিশনের আসাদুজ্জামান, দীপ্ত টিভির রঘুনাথ খাঁ, এখন টিভির আহসানুর রহমান রাজিব, ডিবিসির এম বেলাল হোসাইন ও মানবজমিনের এসএম বিপ্লব হোসেন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সাংবাদিকদের কাজ তথ্য নেওয়া এবং দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করা। তালা উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণকাজে অনিয়ম-দুর্নীতির খবর পেয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে যান স্থানীয় সাংবাদিক রোকনুজ্জামান টিপু। তথ্য চাওয়ায় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সঙ্গে টিপুর হাতাহাতি হয়। এ সময় তদন্ত ছাড়াই একপেশে শাস্তি দিয়ে ইউএনও শেখ রাসেল অনিয়ম করেছেন। এ ঘটনা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে না ঘটলে তিনি শাস্তি দিতে পারেন না।

তারা বলেন, ঘটনাস্থলে উপস্থিত ঠিকাদারের লোক, শ্রমিক ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণ করে শাস্তি দিয়ে তিনি দুর্নীতিবাজদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

এ সময় বক্তারা কালের কণ্ঠ পত্রিকার তালা উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক টিপুর অবিলম্বে মুক্তি ও তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ রাসেলের প্রত্যাহারের দাবি করেন। তা না হলে বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সাতক্ষীরার তালা উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণকাজের তথ্য চাওয়াকে কেন্দ্র করে হাতাহাতির ঘটনা ঘটলে উভয়পক্ষ তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মো. রাসেলকে জানান। তিনি সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে শ্রমিকসহ স্থানীয়দের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি রোকনুজ্জামান টিপুকে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেন।