দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা ও দুর্ভোগের অবসান ঘটালো ডা. ইউনুস আলী বাবু
দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা ও দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড তুলসিডাঙ্গা এলাকায় শুরু হয়েছে নতুন ড্রেনেজ ও রাস্তা নির্মাণ প্রকল্প। পৌর জামায়াতে ইসলামীর আমীর এবং সাতক্ষীরা সিটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. ইউনুস আলী বাবুর উদ্যোগে এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহযোগিতায় এ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে শুক্রবার (৯ মে) সকালে সাড়ে ১০টার দিকে।
দীর্ঘ প্রায় দুই বছর যাবত তুলসিডাঙ্গায় বাংলাদেশ জামাতে ইসলামীর অফিসের পিছনের রাস্তাটি অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে চরম জলাবদ্ধতায় ভুগছিল। জলাবদ্ধতার ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছিল আলিয়া মাদ্রাসা, মডেল হাই স্কুল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বিএড কলেজ, কোচিং সেন্টার এবং এলাকার সাধারণ জনগণ। রাস্তাটি প্রশস্ত হলেও ড্রেনেজের অভাবে প্রতিনিয়ত জমে থাকা পানিতে চলাচল করাই ছিল এক বিশাল কষ্ট। রাস্তাটি বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামির কলারোয়া উপজেলার অফিসের পিছন দিয়ে কলারোয়া মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়
স্থানীয়দের অভিযোগ, পূর্বে ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকলেও তা ছিল নামমাত্র এবং পানি নিষ্কাশনের কোনো সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগ আরও বেড়ে যেত। ড্রেনের পানিতে মশা, দুর্গন্ধ এবং রাস্তা ভেঙে গর্ত সৃষ্টি হয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ায় এলাকায় ক্ষোভ ছিল দীর্ঘদিন।
অবশেষে কলারোয়া পৌর জামাতের আমীর ডা. ইউনুস আলী বাবুর সক্রিয় উদ্যোগ ও তদবিরে বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত এই প্রকল্প। আনুষ্ঠানিকভাবে মাটি কেটে ড্রেনেজ ও রাস্তা উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন তিনি।
এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন পৌর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাওলানা আলমগীর হোসেন, রিপোর্টার্স ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাঃ আসাদুজ্জামান ফারুকী, সোনালী ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাক, ১-৩ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াত নেতৃবৃন্দ, এইচ.এম. এরশাদ আলী, রাকিবুর রহমান সবুজসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উদ্বোধন উপলক্ষে এলাকাবাসীর মাঝে আনন্দের ছোঁয়া লাগে এবং ইউনুস আলী বাবু নিজ হাতে এলাকাবাসীকে মিষ্টিমুখ করান।
এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ইউনুস আলী বাবু বলেন,
“এই এলাকার মানুষ বছরের পর বছর কষ্টে ছিল। আমি চেষ্টা করেছি প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে সমস্যার সমাধান করতে। ইনশাআল্লাহ, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।”
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ ধরনের জনকল্যাণমুখী উদ্যোগে তাঁরা গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। তাঁরা আশা প্রকাশ করেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে এলাকার দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের অবসান ঘটবে এবং শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের চলাচল হবে আরও নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ।



