শার্শায় জমে উঠেছে আমের বাজার, ব্যস্ত আম চাষী ও ব্যবসায়ীরা

জমে উঠেছে দক্ষিণ অঞ্চলের যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআচড়ার বাগুড়ি বেলতলা আমের বাজার। এ বছর আমের বাম্পার ফলন হওয়াতে, বেলতলা আমের বাজার ও এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকা ও পার্শ্ববর্তী সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসছে বিভিন্ন জাতের আম। প্রতি বছর এখানে আমের বাজার বসে থাকে এবং এখান থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় আম রপ্তানি হয়ে থাকে। ফলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসতে শুরু করেছে আম ব্যবসায়ী ও পাইকারি ক্রেতারা। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা আম ব্যবসায়ীদের পদচারনায় মূখরীত হয়ে উঠেছে বেলতলা আম বাজার ও ব্যস্ততা বেড়েছে এলাকার জনসাধারণের।
আম মৌসুমী শুরুর দিকে প্রশাসনিক ভাবে কড়াকড়ি আরোপ করা হলেও, আম ব্যবসায়ী ও আম পিপাসুদের কথা বিবেচনা করে, উপজেলা প্রশাসন আম ভাঙ্গা ও বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেই।
গত ৬ই মে গোবিন্দ ভোগ আম ভাঙ্গার ও বাজারজাত করার অনুমতি দেয়। পর্যায়ক্রমে প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত সময়ে বিভিন্ন জাতের আম বাজারজাত করা হবে বলে জানা যায়।
আগামী ২১ শে মে হিমসাগর, ২৮শে মে ল্যাংড়া এবং ৬ মে থেকে আম্রপলি ও মল্লিকা আম বাজারে আসার কথা রয়েছে।বেলতলা আম বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বলেন, এবার বাজারে ফরমালিন যুক্ত আম বিক্রি করার কোন সুযোগ নেই এবং বিগত বছরে আমের ন্যায্য মূল্য ছাড়াও, অতিরিক্ত চাঁদা দিতে হত স্থানীয় চাদাবাজদের, ফলে আমের দামটা একটু বেশিই থাকতো, এবার আমের বাজার সম্পূর্ণ চাঁদা মুক্ত থাকাই, আমের দাম একটু নাগালের ভিতরেই থাকবে সাধারণ ক্রেতাদের।
এ সময় বাজার ঘুরে দেখা যায়, গোবিন্দ ভোগ ২ থেকে ২২০০শ, মুম্বাই ১৮ থেকে ২ হাজার, শরী খাস ১৪ থেকে ১৬, গোলাপ খাস ১২ থেকে ১৬০০ টাকা, মন ধরে বিক্রি করতে দেখা যায়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসা এক আম ব্যবসায়ী রেজাউল করিম বলেন, আমি অনেক বছর যাবত এই বাজার থেকে আম কিনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় রপ্তানি করে থাকি, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর এবার অত্যন্ত স্বাছন্দে ও ভালো পরিবেশে আম ক্রয় করতে পারছি। বিগত বছরগুলোতে এখানে এসে চাদাবাজের স্বীকার হয়েছি, সে তুলনায় এবার অনেক ভাল পরিবেশ, তবে এজন্য ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার জন্য সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
