কলারোয়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে কর্মকান্ড খাতা কলমে সবই ঠিক, কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন, দেখার কেউ নেই

কলারোয়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (কৃষি অফিসের) কর্মকর্তা ও ব্লক সুপার ভাইজারদের কর্মকান্ড নিয়ে কৃষকের মধ্যে নানান অভিযোগ শুনা যাচ্ছে। তাদের কর্মকান্ড (কাজ) খাতা কলমে ঠিক থাকলেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন। কৃষকের সাথে নেই কোন সম্পর্ক। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বরের দেওয়া নামের তালিকা নিয়ে তাদের কাজকর্ম। সঠিক ভাবে পর্যবেক্ষন না করে দেওয়া হয় সরকারী সকল সার বা অন্যান্য সামগ্রী । যা ওলো বনে মুক্তা ছড়ানোর মত। প্রান্তীক গরিব চাষিরা এই সব সরকারের দেওয়া বীজ সার ও অন্যান্য সামগ্রী থেকে বঞ্চিত হয় ফলে তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা। কৃষি অফিসের তথ্য মতে গত মৌসুমে ১২০ জন কৃষকের মাঝে ২০ কেজি করে বীজ গম দেওয়া হলেও কত বিঘা জমিতে গম চাষ হয়েছে সঠিক কোন তথ্য কৃষি অফিস থেকে পাওয়া যায়নি, কারণ কোন তদারকি নাই । বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ কৃষিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সরকার নিরলাস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে কিন্তু প্রান্তিক পর্যায় সঠিক ভাবে বন্টন না হওয়ায় কাঙ্খিত ফল পাওয়া যাচ্ছে না। যা খাতা কলমে ঠিক থাকলেও বাস্তবতা ভিন্ন।
এ বিষয় কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের চাষীদের সাথে আলাপ চারিতায় জানা যায় , জালালাবাদ ইউনিয়নের কৃষক মোঃ রেজওয়ান বলেন আমার ৫/৬ বিঘা কৃষি জমি আছে আমি আমার মত চাষ করি আজ ও কোন কিছু কৃষি অফিস থেকে পাইনি বা কোন কৃষি অফিসার কে আমি চিনি না। নামও বলতে পারবো না। বোয়ালিয়া ইউনিয়নের কেড়াগাছি গ্রামের কৃসক মোঃ জাবিদ বলেন আমি কোন ব্লক সুপার ভাইজারের নাম জানি না আমি কোন সুযোগ সুবিধা পাইনি। দেয়াড়া গ্রামের কৃসক আঃ রহমান বলেন আমি কৃষি অফিসের কারোর নাম জানি না আজ ও কোন কিছু পাই নি। কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক এয়াকুব বলেন আমি আমার মত চাষাবাদ করি কোন অফিসার কে চিনি নে। কৃষক ইদ্রীস বলেন আমি শুনেছি সরকার কৃষকদের অনেক কিছু দেয় কিন্তু সে গুলো কোথায দেয় আমরা তো পাইনি।
সুুশিল সমাজ ও শিক্ষীত সমাজ মনে করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের লোকদের কাজ কর্ম খাতা কলমের মধ্যে সিমাবদ্ধ রাখলে চলবে না কৃষকদের কাছে যেতে হবে তাদের পরামর্শ দিতে হবে তাহলে কৃষিতে উন্নত হবে। এবং অফিসারদের মনিটরিং করার ব্যবস্ত করতে হবে । তা না করলে কাজীর গরু খাতায় আছে গোয়ালে নয় এমন হবে কলারোয়ার কৃষিতে। এ বিষয় সংশ্লিষ্ট দপ্তারের কর্মকর্তাদের তদারকি করে যথাযত ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি করেন কলারোয়ার প্রান্তিক চাষীগণ।
