ঝিকরগাছার শংকরপুরে জমিজমা সংক্রান্ত জেরে হামলা, শিশুসহ আহত-৬

যশোরের ঝিকরগাছার পল্লিতে জমিজমা সংক্রান্তের জেরে হামলা ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায় এতে শিশুসহ একই পরিবারের ৬জন আহত হয়েছেন।

ঘটনা টি ঘটেছে ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের জগদানন্দকাটি গ্রামে, গত শুক্রবার সকালে (১৬ই মে) উপজেলা শংকরপুর ইউনিয়নের বাঁকুড়া- জে,কাঠি গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।

আহতরা হলেন, আব্দার আলী (৬৩) আনেছা বেগম (৬০) শাহেদা (৩০) শুভ (১৫) স্বপ্না হুসাইন (৩০) ও সাংবাদিক শিশু কন্যা  ফারিয়া (১৫) মাস।

অভিযুক্তরা হলেন জে,কাঠি বাকুড়া গ্রামের মৃত সেলিম সরদারের ছেলে কবির হোসেন। সে ওই ওয়ার্ডের যুবলীগ সভাপতি  ও একই গ্রামের আমির হোসেন আমু। 

সরে জমিনে নিউজ অনুসন্ধানে যেয়ে জানা যায় প্রত্যাক্ষদর্শী নিজাম সাংবাদিকদের বলেন, আমি যাহা শুনছি ও দেখেছি আজ কয়েক মাস ধরে জমাজমি নিয়ে বিরোধ চলছে একবার আমির হোসেন সহ আরোও শরিকরা তাদের জমি মেপে এক কায়দায় বুজ করে দেয়, ও সেখানে আব্দার ভাইয়েরা বেশ কিছু গাছ রোপন সহ বিভিন্ন ফসলাদি চাষ করতে থাকে, এই দিন জমি চাষ দিতে গেলে তোরা কোন জমি পাবি না কিসের জমি বলেই  কবির ও আমুর রড ও শাবল নিয়ে সব মহিলা পেয়ে এলো পাতাড়ি ভাবে মারধর করে ও তারা খুব মারাত্মক ভাবে জখম হয়। পাশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাচির  নির্মাণ করা মিস্ত্রিরা জানান, আমরা দেখলাম যে জমিতে চাষ দেওয়া অবস্থায় কবির বাধা দেয় ও মুরুব্বি (আব্দার) কে মারে একপর্যায়ে মুরুব্বির হাত ভেঙে যায়। চেচামেচি শুনে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে আসা মেয়ে ছুটে আসলে আমুর শাবল নিয়ে তারেও প্রচুর মারধর করে। পরে একটা বৌয়ের মাথায় আঘাত করতে গেলে ওই মুরব্বি ঠেকালে মুরুব্বির হাতে ও বাচ্চার মাথায় লাগে শিশু বাচ্চাটি মারাত্মক ভাবে আহত ও জখম হয় ও মুরুব্বি র আঙ্গুল ভেঙে যায়। তবে কবির ও আমুর মহিলাদের যে ভাবে মেরেছে কোন মানুষ ওইভাবে মারেনা। আরোও বলেন এরাতো সব মহিলা আর ওরা শাবল ও রড এনে মেরেছে। এরা মার খাওয়া ছাড়া আর কি করবে এরাতো সব মহিলা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকা বাসী জানান, যে কবির লাঠি চাইলে একই গ্রামের মোবারেক হোসেনের স্ত্রী রড এনে দেয়। যাহা দিয়ে কবির আব্দারের মাথায় আঘাত করলে হাত দিয়ে ঠেকালে  হাত ভেঙে মাটিতে পড়ে যায়। ও আমুর হোসেন লোহার শাবল নিয়ে শিশু বাচ্ছাসহ মাথায় আঘাত করে যাহা হাতে লেগে হাত ভেঙে যায় ও বাচ্চার মাথায় লেগে মারাত্মক জখম হয়।

এই বিষয়ে ভুক্ত ভোগীরা বলেন কবির এসে লাঠি চাইলে মোবারকের বৌ রড এনে দেয় ও আমির হোসেন শাবল নিয়ে মাথায় আঘাত করলে শিশু বাচ্চা সহ মারাত্মক জখম হয়।

অভিযোগ কারি বলেন, আমি বাসা থেকে ফোনে জানতে পারি যে আমার শিশু বাচ্চা সহ অনেকেই জখম হয়েছে, ওখান থেকে গাড়ী করে বাঁকড়া আসলে আমি তাদেরকে ঝিকরগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ৩ জনকে প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসা দিয়ে ২ জনকে ভর্তি করে ও শিশু বাচ্চাকে যশোর মেডিকেল কলেজে রেফাড করে দেয়। মামলা হয়েছে কি না জানতে চাইলে বলেন ঝিকরগাছা থানায় এজহার করা হয়েছে। এজহারের বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিকরগাছা থানা ইনচার্জ বাবলুর রহমান জানান আমি এজহার পেয়েছি, উক্ত ঘটনা তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিব।



মন্তব্য করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *