শহীদ জিয়াই এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের সূচনা ঘটিয়েছেন – বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক সাবেক এমপি হাবিব

বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেছেন, দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য নেতৃত্বহীন জাতির দিশারী হয়ে শহীদ জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেন। যুদ্ধে অসীম বীরত্বের পরিচয় দিয়ে জিয়াউর রহমান ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার। দায়িত্ব পালন করেন জেড ফোর্সের অধিনায়ক হিসেবে। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে বীরউত্তম উপাধিতে ভূষিত করা হয়। শুক্রবার (৩০ মে) কলারোয়া উপজেলা চত্বরে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বীর উত্তম এঁর ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় দেশের পরিবর্তিত এ অবস্থায় তারুণ্যনির্ভর নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি অভিজ্ঞ ও তরুণদের মিশেলে যুগোপযোগী নেতৃত্ব গড়ার তাগিদ দেন সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব। আত্মনির্ভরশীল যুবসমাজ গড়তে শহীদ জিয়া কাজ করে গেছেন। তিনি কৃষিখাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন। কৃষিতে বিপ্লব ঘটিয়েছেন তিনি। তিনি ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মেধা, বুদ্ধিমত্তা, প্রজ্ঞা, সততা, দেশপ্রেম, নেতৃত্বের কৌশল ও আদর্শ এদেশের মানুষের জন্য এক বাতিঘর। লাইট হাউস বা বাতিঘর যেমন করে নিরুদ্দেশ নাবিককে সঠিক পথের নির্দেশনা দেয় তেমনি জিয়াউর রহমানের জীবনাদর্শ যুগে যুগে কালে কালে আমাদের জন্য প্রাসঙ্গিক হয়ে থাকবে বলে উল্লেখ করেন এ নেতা। আত্মত্যাগে বলীয়ান হয়ে নিঃস্বার্থভাবে দেশ ও জাতি গঠনে যুবসমাজের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেন, সর্বক্ষেত্রে রাজনীতিতে আনতে হবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা। উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুল কাদের বাচ্চু ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ তামিম আজাদ মেরিনের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন ও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির মুখপাত্র সাবেক অধ্যক্ষ রইছ উদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রকিব মোল্লা, সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাবেক অধ্যক্ষ আবু বকর সিদ্দিক, সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ হেসেন, সাবেক পৌর বিএনপির সভাপতি শেখ কামরুল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ শরিফুজ্জামান তুহিন, সাবেক সহ সভাপতি আখলাকুর রহমান শেলী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রসুল, জেলা যুবদল নেতা সাবেক পৌর কাউন্সিলর আইনুল ইসলাম নান্টা, বিএনপি নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম হোসেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, বিএনপি নেতা আব্দুর রাজ্জাক, নজরুল ইসলাম, আব্দুর রহমান মুকুল, আমিনুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক সাহাদাৎ হোসেন, মাফুজার রহমান খান চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম, মাস্টার আজিজুর রহমান, জহুরুল ইসলাম, আশরাফুজ্জামান মন্টু, আশরাফুল ইসলাম, নাছির উদ্দীন, ডা. সিরাজুল ইসলাম, নূর ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসেন, মাস্টার আব্দুল মাজেদ, নুর ইসলাম, ডা. আব্দুল মজিদ, আনিছুর রহমান, ফজলুর রহমান মোল্লা, রওশন গাজী, রবিউল ইসলাম, সাবেক মেম্বর মুজিবর রহমান, রাশিদা আশরাফ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম চন্দন, উপজেলা যুবদল আহবায়ক এমএ হাকিম সবুজ, সদস্য সচিব তাওফিকুর রহমান সঞ্জু, যুগ্ম আহবায়ক প্রভাষক সালাউদ্দিন পারভেজ, রুহুল আমিন খোকন, আব্দুল মজিদ, সহিদুল ইসলাম, আলতাফ হোসেন, শওকত হোসেন, মীর রফিকুল ইসলাম, এমএ রব শাহিন, উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক মাস্টার মনিরুজ্জামান, মনিরুজ্জামান মনি, স্বেচ্ছাসেবকদলের মোশাররফ হোসেন, আরিফুর রহমান রঞ্জু, জিকো, তাঁতিদলের আহবায়ক জিয়াউর রহমান জিয়া, সদস্য সচিব আব্দুল জলিল, ছাত্রদল নেতা শাহাজালাল আহমেদ সাজু, জি এম সোহেল প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে জুম্মার নামাজের পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়ানুষ্ঠান পরিচালনা করেন মাওলানা গোলাম রসুল শাহী। দোয়ানুষ্ঠানের পর সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবের নেতৃত্বে একটি বিশাল র‌্যালি পৌরশহর প্রদক্ষিণ করে।



মন্তব্য করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *