চাঁদা না দেওয়ায়’ চৌগাছার ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলার অভিযোগ

চাঁদা না দেওয়ায় যশোরের চৌগাছার ফুলসারা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান ঢালিকে (৪৭) পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ।
বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে ইউনিয়নের মান্দারতলা এলাকায় দুর্বৃত্তরা তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয় বলে জানা গেছে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
জিয়াউর রহমান ঢালি সদ্য কার্যক্রম স্থগিত হওয়া সংগঠন আওয়ামী লীগের ফুলসারা ইউনিয়নের সভাপতি।
চেয়ারম্যানের স্বজনদের অভিযোগ, ফুলসারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী মাসুদ চৌধুরী। রাজনীতিক পটপরিবর্তনের পর তিনি আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় গত ২৮ এপ্রিল গ্রেফতার হন। এরপর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউর রহমান ঢালি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান। দায়িত্ব পাওয়ার পর স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ও একাধিক মামলার আসামি সন্ত্রাসী লিটনের নেতৃত্বে পাঁচ থেকে ছয়জন জিয়াউর রহমানের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। তাদের চাঁদা না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হন লিটন।
বুধবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মোটরসাইকেলে বাড়িতে যাওয়ার পথে লিটন ও তাদের সহযোগীরা পথরোধ করে। এরপর অস্ত্র ঠেকিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। পরে হকস্টিক দিয়ে দুই পা ও হাত ভেঙে দিয়ে পালিয়ে যায়।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান ঢালি জানান, চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে একটি পক্ষ আমাকে মেনে নিতে পারেনি। আমাকে হত্যার চেষ্টা শুরু করে। স্থানীয় সন্ত্রাসী লিটন আমার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল। সেই টাকা না দেওয়ায় আমার ওপর হামলা চালিয়েছে। মারধরের এক পর্যায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করার চেষ্টা করছিল, কিন্তু স্থানীয় লোকজন চলে আসায় তারা পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত লিটন পুলিশের তালিকাভুক্ত অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ী। আওয়ামী সরকারের আমলে উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের ছত্রছায়ায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতেন। রাজনীতিক পটপরিবর্তনের পর বিএনপি নেতাদের ছত্রছায়ায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।
যশোর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. হাসিবুর রহমান বলেন, আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে আনা হলেও বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত।
এই বিষয়ে চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনাটি নিয়ে পুলিশের একটি টিম কাজ শুরু করেছে। তদন্ত চলছে, এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। জড়িতদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
