কলারোয়ায় মারকাযুল ইলমী ওয়াদ- দাওয়াহ্ মাদরাসার অভিভাবক ও সুধী সমাবেশ

কলারোয়ায় মারকাযুল ইলমী ওয়াদ- দাওয়াহ্ মাদরাসার অভিভাবক ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার(৫ জুলাই)সকাল ১১টায় কলারোয়া পৌর অডিটোরিয়ামে মারকাযুল ইলমী ওয়াদ- দাওয়াহ্ মির্জাপুর মাদরাসার পরিচালনা পরিষদের সভাপতি প্রফেসর মো.কামাল হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে অভিভাবক ও সূধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও পরামর্শ প্রদান করেন দূর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক ড. খাঁন মুহা. মিজানুল ইসলাম সেলিম। প্রধান অতিথি মাদরাসা শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ইসলামের সকল শিক্ষা মানব জীবনে গ্রহণ ও পালন করার ফলেই মানুষ জ্ঞানী এবং শ্রেষ্ঠ জীব হয়েছে। আর এই জ্ঞানকে অস্বীকার করার কারণে ইবলিশ শয়তানে পরিনত হয়েছে। সেজন্য পরিবার থেকে ইসলামি শিক্ষা গ্রহণ করার তাগিদ দিয়ে জীবন গড়ার পরামর্শ দেন শিক্ষার্থীদের। নৈতিকতা, ধর্মীয় শিক্ষা ও পারিবারিক শিক্ষা মানবজীবন গঠনে মূল ভুমিকা রাখে বলে জানান তিনি। কলারোয়া মারকাযুল ইলমী ওয়াদ- দাওয়াহ্ মাদরাসা প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান মুরুব্বি হিসেবে উপস্থিত থেকে দোয়া পরিচালনা করেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মাওলানা গোলাম রসুল শাহী। বিশেষ অতিথি হিসেবে কলারোয়া কয়লা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপি নেতা মো. আ. রকিব মোল্লা এলাকার সুধী, অভিভাবক, রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দকে নিয়ে মাদরাসা প্রতিষ্ঠায় কাজ করার আহবান জানান। তিনি বলেন, কওমী মাদরাসা আমাদের সন্তানদের সঠিকভাবে ইসলামি চিন্তা চেতনার শিক্ষা দিয়ে থাকে। তাই এ মাদরাসা প্রতিষ্ঠায় তিনি অবদান রাখতে চান এবং সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কলারোয়া সরকারি জি,কে,এম,কে পাইলট হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিএনপি নেতা শেখ তামিম আজাদ মেরিন বলেন, ধর্মীয় শিক্ষাই একমাত্র মানব জীবনে ইহকাল ও পরকালের পাথেয়। এজন্য কওমী শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। কলারোয়া মারকাযুল ইলমী ওয়াদ- দাওয়াহ্ মাদরাসা প্রতিষ্ঠা ও পরিবেশগত শিক্ষার মান উন্নয়নে সার্বিক সহযোগিতার জন্য পাশে থাকবেন বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
সমাবেশে বেত্রবর্তী আদর্শ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাংবাদিক রাশেদুল হাসান কামরুল বলেন, বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাদরাসা শিক্ষা নিয়ে বিভিন্ন অপপ্রচার ও নেতিবাচক খবর প্রচার করতে দেখা যায়। যা এই শিক্ষার ব্যাপারে অভিভাবকদের বিরূপ ধারনার জন্ম দেয়। তিনি এ ধরনের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে গণ সচেতনতার কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন শিক্ষানুরাগী মো.আনারুল ইসলাম, মোঃ আবু মুহিত, সুপার মাওলানা আঃ সাত্তার, হাফেজ শেখ নুর ইসলাম, প্রতিষ্ঠান প্রধান মুফতি মো. মতিউর রহমান। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন অতিথি শিক্ষক কলারোয়া উপজেলা জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন মাওঃ ক্বারী জাহাঙ্গীর হুসাইন। পরে শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় হামদ, নাতে রাসুল, বাংলা ও ইংরেজি কবিতা আবৃত্তি, মহান আল্লাহর ৯৯ নামের সিফাত, কোরআনে বর্ণিত ২৫ জন নবী ও রাসুলের নাম, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর বংশ পরস্পরায় হযরত আদম (আঃ) নাম, মহা গ্রন্থ আল কোরআনের ১১৪ টি সুরার নাম উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের সকল পরিবেশনা উপস্থিত সকলে মনোযোগ সহকারে শুনেন এবং ভূয়সী প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে প্রধান অতিথি ড. খাঁন মুহা. মিজানুল ইসলাম সেলিম সদ্য মেডিকেলে চান্স পাওয়া কলারোয়ার বোয়ালিয়া গ্রামের শিক্ষার্থী নাদিরা খাতুনের হাতে শিক্ষা সহায়তা হিসেবে নগদ অর্থ তুলে দেন।
