ঘরে বসেই সাতক্ষীরার ৮ থানার মানুষ পাচ্ছেন জিডি করার সুবিধা

পুলিশের সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হলো সাতক্ষীরায়। এখন থেকে আর জিডি করার জন্য থানায় যেতে হবে না, বরং ঘরে বসেই অনলাইনে সকল প্রকার সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে পারবেন সাতক্ষীরার নাগরিকরা।
সোমবার (২১ জুলাই) রাত ১২টা ১ মিনিটে সাতক্ষীরা সদর থানায় এসে অনলাইন জিডি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুকিত হাসান খান, মো. শাহিনুর চৌধুরী, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামিনুল হক, ডিআইও-১ চৌধুরী রেজাউল করিমসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, “সাতক্ষীরা জেলার আটটি থানায়ই অনলাইন জিডি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এখন সকল ধরনের জিডি অনলাইনে করা যাবে। নাগরিকরা নিজেদের বাড়িতে বসেই এই সেবা নিতে পারবেন, যা সময় ও ঝক্কি-ঝামেলা দুটোই বাঁচাবে।”
অনলাইন জিডি করার প্রক্রিয়া খুবই সহজ প্রথমে গুগল প্লে স্টোর থেকে ‘অনলাইন জিডি’ অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে। এরপর অ্যাপটিতে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন শেষ হলেই অ্যাপ থেকে কাঙ্ক্ষিত সকল জিডি সেবা পাওয়া যাবে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, “একজন নাগরিকের একটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্ম নিবন্ধন, একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং ওয়াইফাই সংযোগ থাকলেই যেকোনো জায়গা থেকে এই অনলাইন সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।”
তিনি বলেন, “পুলিশের সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমাদের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের নির্দেশনায়, আইজিপি মহোদয় এবং রেঞ্জ ডিআইজি খুলনা মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় এই কার্যক্রমগুলো চলমান থাকবে।”
মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, এই নতুন সেবা সম্পর্কে জনগণকে জানাতে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া, ফেস্টুন, ব্যানার এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বিশেষ করে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালানো হয়েছে।
তিনি বলেন, “অনেক সময় থানায় গিয়ে ঝুঁকি ঝামেলা পোহাতে হয়। এখন যার যার বাড়ি থেকে বাড়িতে বসে এই কাজটি সে করতে পারবে। হুমকি সহ বিভিন্ন ধরনের জিডি ঘরে বসেই অনলাইনে করা যাবে। তবে কেউ চাইলে বরাবরের মতো থানায় এসেও জিডি করার সুযোগ পাবেন।”
পুলিশ সুপার নিশ্চিত করেন, সাতক্ষীরা জেলার প্রতিটি থানায় কম্পিউটার অপারেটরসহ প্রয়োজনীয় সকল লজিস্টিক সাপোর্ট প্রস্তুত রয়েছে, যাতে জনগণকে সর্বোত্তম সেবা দেওয়া যায়।
