প্যারালাইসিস জনিত কারণে অসুস্থ সাইদুন নেছাকে হুইলচেয়ার দিলেন ড. মিজান

প্যারালাইসিস জনিত কারণে অসুস্থ সাইদুন নেছাকে হুইলচেয়ার দিলেন ড. মিজান। কলারোয়ার তুলসীডাঙ্গা গ্রামের মৃত ইনছান আলী স্ত্রী সাইদুন নেছা গত দেড় বছর যাবত প্যারালাইসিস জনিত কারণে শয্যাসায়ী। হাঁটাচলা করতে না পারায় তাকে নিয়ে বেশ বিপাকে পড়ে তার পরিবার। ছোট মেয়ে ইয়ানা পারভিন তার দেখভাল করে যেয়ে হিমসিম খাচ্ছে। সাইদুন নেছা দু’চোখে দেখতে পেলেও চলার ক্ষমতা না থাকায় ঘরের বাইরে আলো বাতাস দেখতে পাওয়া ছিলো তার কাছে স্বপ্নের মতো।
ঘরের বাইরে বের হতে না পারায় মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন তিনি। বারবার ঘরের বাইরে আসতে চায়তেন তিনি মাঝে মাঝে ২ থেকে ৩ জনের সহযোগিতায় বারান্দায় শুয়েও রাখা হলেও তাতে তার মন ভরতোনা।
হতদরিদ্র পরিবারের সামর্থ নেই তাকে উন্নত চিকিৎসা করার। আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন না জেনে জীবনের শেষ প্রান্তে এসে তার চাওয়া ছিলো হুইল চেয়ারে করে ঘুরে ঘুরে বাড়ির পাশের মানুষের সাথে কথা বলবেন। দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের কাছে এই স্বপ্ন পূরণ করা ছিলো খুবই কষ্ট সাধ্য। ইয়ানা পারভিন মায়ের স্বপ্ন পূরণের জন্য দুদকের পরিচালক ডা. খাঁন মীজানুল ইসলাম এর দ্বারস্থ হন। ড. খাঁন মীজানুল ইসলাম বিষয়টি জানতে পেরেই তার ভাই খাঁন সাফায়াতুল ইসলাম এর মাধ্যমে একটি হুইল চেয়ার উপহার দেন সাইদুন নেছাকে।
হুইল চেয়ার পেয়ে আনন্দে কাঁদতে কাঁদতে সাইদুন নেছা বলেন – আমি প্রায় ২ বছর ধরে পড়ে আছি ভেবেছিলাম আর কখনো দুনিয়ার আলো বাতাস দেখতে পাবো না প্রতিবেশীর সাথে দেখা করতে পারবোনা কথা বলতে পারবোনা। মেয়ে বলেছিলাম একটা হুইল চেয়ার হলে একটু দুনিয়ার আলো বাতাসে ঘুরতে পারবো, গরীব মানুষ এতো টাকা কোথায় পাব তাই আমাদের ছেলে মীজানুল এর কাছে মোবাইলে আমার জন্য একটা হুইল চেয়ার চেয়েছিলাম। কয়েকদিনের মধ্যেই সে আমার জন্য তার ভাইয়ের মাধ্যমে একটি হুইল চেয়ার পাঠিয়েছে। আমি দোয়া করি আল্লাহ যেন তার হায়াত বাড়িয়ে দেয় এবং আমার মতো অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে।

এসময় খাঁন সাফায়াতুল ইসলাম বলেন আমরা ও আমাদের পরিবার সব সময় মানুষের কল্যাণে কাজ করি। আপনার দোয়া করবেন আমার যেন সব সময় এই ভাবে অসহায় মানুষের সেবা করতে পারি।

উল্লেখ্য যে এরপর একই এলাকার আরো দুই জন অসুস্থ মানুষকে আর্থিক সহায়তা দেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক শেখ শাহাজানালী শাহিন, জাহাঙ্গীর হোসাইন, মর্তুজা হাসান প্রমুখ।



মন্তব্য করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *