কলারোয়ায় জুম্মাতেই শুরু উপজেলা মডেল মসজিদের কার্যক্রম

পবিত্র জুম্মার নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে কলারোয়া উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কার্যক্রম শুরু হলো। প্রায় চার বছর আগে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও মসজিদটি ব্যবহার উপযোগী ছিল না। এখন মসজিদটি কেবলমাত্র নামাজের জন্য উন্মুক্ত করা হলো। গণপূর্ত বিভাগের বাস্তবায়নাধীন এ মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ গত কয়েক মাস ধরে দিনরাত বিরামহীনভাবে চলতে থাকে। পূর্বেই মসজিদের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জহুরুল ইসলাম ১ আগস্ট জুম্মার নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে মসজিদের কার্যক্রম শুরু করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। যা শুক্রবার জুম্মার নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে বাস্তবায়িত হলো। জুম্মার নামাজে শরিক হয়ে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ। এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.জহুরুল ইসলাম। জুম্মার নামাজে শরিক হন সাতক্ষীরা জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের শীর্ষ ব্যক্তিবর্গ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। নান্দনিক স্থাপত্যশৈলী ও নজরকাড়া অবকাঠামোর এই মডেল মসজিদে প্রথম জুম্মার নামাজ আদায় করার সুযোগ কেউই হাতছাড়া করেননি- এমনই ধারণা করেন মসজিদে আগত মুসল্লিরা। মসজিদে নারী ও পুরুষ মিলিয়ে ৯০০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। শুক্রবার প্রথম জুম্মার নামাজে অনেক নারী মুসল্লি শরিক হন। শুক্রবার প্রথম জুম্মার নামাজে শরিক হন প্রায় দুই হাজারের অধিক মুসল্লি। এ এক অভূতপূর্ব দৃশ্য! একটি মসজিদ ছিল শুক্রবার মুসল্লিদের সকল আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। সকল শ্রেণি ও পেশার বিপুল মুসল্লি অত্যন্ত ভক্তিভরে নির্দিষ্ট সময়ের ঘণ্টাদেড়েক আগে মসজিদে প্রবেশ করেন। জুম্মার আজানের পরপরই মসজিদটি কানায় কানায় ভরে যায়। জুম্মার নামাজে এমন দৃশ্য সচরাচর বিরল। সূত্রমতে, তিন তলাবিশিষ্ট এ মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আয়তন ১৬৮০.১৪ বর্গমিটার। এখানে একসঙ্গে ৯০০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদটির নির্মাণ ব্যয় ১৩ কোটি ৪১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে এ মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতিক কেন্দ্রটি নির্মিত হয়েছে। যদিও এই মসজিদ কমপ্লেক্সটির সম্পূর্ণ নির্মাণ কাজ এখনো শেষ হয়নি। তা চলমান রয়েছে। কেবলমাত্র নামাজের জন্য উপযোগী করা হয়েছে মাত্র। সম্পূর্ণ নির্মাণ কাজ খুব শীঘ্র সম্পন্ন হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। এই মডেল মসজিদ ও ইসলামিক কেন্দ্রে নারী ও পুরুষের জন্য পৃথক ওজু ও নামাজ আদায়ের সুবিধা রয়েছে। এছাড়া রয়েছে ইসলামিক লাইব্রেরি, গবেষণা ও দ্বীনি দাওয়াত কার্যক্রম, পবিত্র কোরআন হেফজ, শিশু শিক্ষা, অতিথিশালা, বিদেশি পর্যটকদের জন্য আবাসন, হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণ, ইমামদের প্রশিক্ষণ, কনফারেন্স হল, প্রতিবন্ধী কর্নার প্রভৃতি। এছাড়া ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা, সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা রয়েছে।
