কলারোয়া’র কাঠের ব্রীজ পূর্ণ নির্মাণ করেছেন কলারোয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতি

কলারোয়া’র কাঠের ব্রীজ পূর্ণ নির্মাণ করেছেন কলারোয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতি। কলারোয়ার মানুষের অতিপ্রয়োজনীয় ব্রীজটি বেত্রাবতী নদীর উপর নির্মিত। কাঁচা বাজার ও মুরারীকাটির সংযোগ স্থাপন করেছে এই ব্রীজটি।
যুগ যুগ ধরে এই কাঠের তৈরি ব্রীজ পারাপার করে প্রতিদিন প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার মানুষ। অতিপ্রয়োজনীয় এই ব্রীজটি এই বছরের বর্ষার শুরুতে অতিরিক্ত পানির চাপ ও শেওলার চাপে ভেঙে গেলে ১ লক্ষ্য ৩০ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় নতুন ব্রীজ। গেল টানা ভারী বর্ষণের ফলে তীব্র স্রোতে ভেসে যায় ব্রীজটি ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে পৌরসভার ২ টি ওয়ার্ড সহ ৪টি ইউনিয়নের মানুষ। হালকা যানবাহন ও মানুষ চলাচলের ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা তাদের ঘুরে আসতে হতো নির্মাণাধীন পাকা পোল দিয়ে। এতে করে যানজটে পড়ে ভুগতে হতো প্রায় সময়। পরিবহন খরচ বৃদ্ধির পাশাপাশি নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছিলো সাধারণ মানুষদের। বিশেষ করে স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রী, নারী বৃদ্ধ ও অসুস্থদের।
বেক্তি উদ্যোগে নদী পারাপারের মাথা প্রতি খরচ হতো ১০ টাকা করে যেটা দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের জন্য খুবই কষ্টো সাধ্য। পরবর্তীতে কলারোয়া উপজেলা প্রশাসনের আশ্বাসে আবারো কাঠের তৈরি ব্রীজ নির্মাণের কাজ শুরু করে কলারোয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতি। বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এস এম শওকত হোসেনের তত্ত্বাবধায়নে প্রায় ১ লক্ষ্য টাকা খরচে পূর্ণ নিমান হয় ব্রীজ টি। এতে একদিকে মানুষের ভোগান্তি কমার পাশাপাশি উপকৃত হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী টালি শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যাবসায়ীরা। ১২ আগষ্ট ২৫ ইং মঙ্গলবার বিকালে নবনির্মিত ব্রীজটি উদ্বোধন করে সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন কলারোয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এস এম শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মীর রফিকুল ইসলাম, বাজার ব্যবসায়ী সমিতির কার্যনির্বাহী সংসদ আজহারুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা এস এম খালিদ, যুবদল নেতা লিটন, জয়নাল,বাবু সহ আরো অনেকেই। এসময় অতিথি বৃন্দ আগামীতে এই ব্রীজটি সহ কলারোয়া যুগিবাড়ির কাঠের তৈরি ব্রীজটি পাকা বেলী ব্রীজ নির্মাণের দাবি জানান।
