আশাশুনির প্রতাপনগরে গৃহবধুকে অপহরনের অভিযোগ।।পরিবার উদ্বিগ্ন

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগরে শ্বশুর বাড়ী থেকে বাপের বাড়ী ফেরার পথে এক গৃহবধুকে অপহরনের অভিযোগ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ভিকটিমের দাদী আমিনা খাতুন বাদী হয়ে একই ইউনিয়নের সোনাতনকাটি গ্রামের ফয়সাল গাজী ও তার পিতা নুরু গাজীকে অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। লিখিত অভিযোগ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের সোনাতনকাটি গ্রামের রোকন সানার কন্যা….(১৭) কুড়িকাহুনিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসায় ৯ ম শ্রেনীতে লেখাপড়া করাকালীন একই গ্রামের নুরু গাজীর ছেলে ফয়সাল গাজী(২৫)মাদ্রাসায় যাতায়াতের পথে আমার পুতনিকে রাস্তাঘাটে একা পেয়ে বিভিন্ন ভাবে উত্যক্ত করতো ও বিবাহের প্রস্তাব দিয়া আসিতে থাকে। বিষয়টি বিবাদীর পিতা নুরু গাজীকে জানালে কোন প্রকার শাসন না করিয়া তাকে বিভিন্ন ভাবে উস্কানী দেওয়া ও সহায়তা করে আসিতে থাকে। এমনকি অপহরণ করে বিবাহ করার প্রকাশ্যে হুমকি দিতে থাকে। বিবাদী ফয়সাল ও তার পরিবার কর্তৃক ক্ষতি হইতে পারে ভেবে আমার পুতনিকে শ্যামনগর থানাধীন গড় কুমারপুর গ্রামে কালাম গাজীর পুত্র মোঃ ইসমাইল গাজীর সহিত অনুঃ ৫/৬ মাস পূর্বে বিবাহ দেই। সেখানে সে সুখে শান্তিতে সংসার করতে থাকে। গত-০২সেপ্টেম্বর সকাল অনুঃ ০৯:০০ ঘটিকার সময় আমার পুতনি তার শ্বশুর বাড়ী থেকে বাপের বাড়ী(সোনাতনকাটি) আসার পথে প্রতাপনগর তালতলা বাজারে পৌছালে ফয়সাল তার পিতার সহযোগিতায় আমার পুতনিকে ফুসলাইয়া তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক মোটর সাইকেলে করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। আমার পুতনির ডাকচিৎকারে পথচারী ও আশপাশের লোকজন ফয়সালকে আটকের চেষ্টা করতে ব্যর্থ হয়। অপহরনের ৩ দিন অতিবাহিত হলেও আমার পুতনির কোন সন্ধান না পাওয়ায় পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে আশাশুনি থানা সেকেন্ড অফিসার(তদন্ত)আব্দুল ওয়াদুদ জানান,অভিযোগ পেয়েছি,তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিবাদী ফয়সাল ও তার পিতা নুরু গাজির মোবাইল বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ভুক্তভোগী পরিবার বিবাদীদ্বয়ের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।



মন্তব্য করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *