কলারোয়া’য় চাহিদার তুলনায় সার সরবরাহ কম, কৃষক দুশ্চিন্তায়
কলারোয়া উপজেলায় ১২ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌর সভা নিয়ে কলারোয়া উপজেলা গঠিত। এ উপজেলায় সরিষা ধান, ও কুল চাষসহ মাছ চাষে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। এখানকার কৃষক তাদের মেধা ও মনোনিবেশের মাধ্যমে বিভিন্ন কৃষি ফসল উৎপাদন করে থাকে। জেলার অন্যান্য উপজেলার থেকে কলারোয়ায় আবাদি জমির পরিমান বেশী। কিন্তুু সেই তুলনায় রাসায়নিক সার সরবরাহ কম পায় বলে জানান অনেক কৃষক। সরকারি ভাবে বরাদ্ধকৃত যে সার আসে তার অধিকাংশই মাছের ঘেরে ব্যবহার করছে মাছ চাষিরা। এ কারণে ফসলি জমিতে সার সংকট দেখা দেয়। কলারোয়া কৃষি অফিস তথ্য মতে শুধু মাত্র ফসলের চাহিদা(২৫-২৬) ইউরিয়া : ৫৯৭২মে.টন, টিএসপি সার চাহিদা : ১৬৮৭ মে.টন, ডিএপি সার: ৩৩১৮ মে.টন, এমওপি সার: ২০৬৫ মে.টন
প্রাপ্তি : ইউরিয়া: জুলাই -৪৬০,আগস্ট ৭৩৫, সেপ্টেম্বর ৪২৪, অক্টোবর ১২২মে.টন। টিএসপি : জুলাই -১৮০,আগস্ট ১৫৬, সে-৭৬, অক্টোবর ৯২, নভেম্বর ২৩৬
ডিএপি প্রাপ্তি : জুলাই ২৬৫, আগস্ট ২২০, সেপ্টেম্বর ১৭০, অক্টোবর ২৮০,নভেম্বর ৪১০
এমওপি প্রাপ্তি – জুলাই ২০০, আগস্ট ২২৫, সেপ্টেম্বর ১১৫,অক্টোবর ৯০, নভেম্বর ২১৫মে.টন
মাছ এবং অন্যান্য গোখাদ্য এর চাহিদা সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্ট অনুযায়ী বরাদ্দ দেওয়া হয়।
বর্তমান বোরো মৌসুমের ধান কিছু কিছু এলাকায় কাটা শুরু হলে ও উপজেলার অধিকাংশ ধান কাটা শুরু হয়নি। যে সব জমির ধান কাটা হয়েছে সেখানে সরিষা চাষের জন্য প্রস্তুুত করছে কৃষক। গতবছরের তুলনায় এবার সরিষা চাষ বেশী হবে এমনি আশা করছে কৃষক। এমনি সময় সার না পাওয়া নিয়ে কৃষকের অভিযোগ উঠেছে।এবং সরিষা চাষ নিয়ে দুশ্চিতায় আছে কৃষক।
সরে জমিনে যেয়ে জানা যায় রাইটা গ্রামের কৃষক মোঃ আলমঙ্গীর হোসেন ও আনারুল ইসলাম বলেন সরিষা বুনবো কিন্তু সার পাচ্ছি না আমরা পাশের উপজেলার থেকে ইউরিয়া ও টি,এস,পি এনে জমিতে সার দিচ্ছি। এ ছাড়া আমাদের ইউনিয়নের ডেলার থেকে সার না পেয়ে অন্য ডেলার থেকে কিনতে হচ্ছে।এ অভিযোগের আলোকে কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের বি সি আই সি ডেলার মেসার্স সানা এন্টার প্রাইজ মোঃ আতিয়ার রহমান কে মুঠো ফোনে ০১৭৪০৮২৯৭৩৪ ফোন দিলে আবু বক্কার সিদ্দিক বলেন আমাদের যে পরিমান চাহিদা তার ৪ ভাগের এক ভাগ উপজেলা থেকে সরবরাহ করছে আমরা কি করবো।
এই বিষয় অন্য ইউনিয়নের কৃষকের কাছে জানতে চাইলে বলেন এখনো বোরো মৌসুমের ধানের চাষ শুরু হয়নি এখনি সার স্ংকট দেখা যাচ্ছে তাহলে বোরো ধানের চাষ হলে কৃষকের সার নিয়ে হা- হা কার দেখা যাবে। কৃষক আরো বলেন টি,এস,পি সার যেন সোনার হরিণ মনে হচ্ছে, যা চাই তার তুলনায় অনেক কম পাওয়া যাচ্ছে। বি সি আই সি ডেলারদের কারণে চড়া মুল্যে সার কিনতে হচ্ছে এমনো অভিযোগ আছে কৃষকের।
কলারোয়া উপজেলার বিসি আই সি সার ডেলার ও সাব ডেলারদের মধ্যে সারের মুল্য নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। যা অনেকে কৃষি অফিসার দের সাথে যোগসজাগ করে বি সি আই ডেলার তাদের ব্যবসা সঠিক ভাবে করছে এমন অভিযোগ আছে সাব ডেলারদের।
কুশোডাঙ্গা ইউনিযনের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রাজু আহম্মেদ কৃষকের সকল অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন রায়টার কৃষক যথাযত সার পাচ্ছে।
এ বিষয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ এনামুল ইসলাম বলেন এখন ইউরিয়া সার তেমন কোন সংকট নাই তবে টি,এস,পি চাহিদার তুলনায কম পাওয়া যাচ্ছে। বোরো মৌসুমে এলাকাভিত্তিক জেলা থেকে সঠিক বরাদ্ধ পেলে সারের কোন সংকট থাকবে না বলে তিনি জানান।
বি,সি,আই,সি ( সার) ডেলারদের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন এমন কোন উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের বা কৃষি অফিসের কেউ জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রমান সাপেক্ষে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


