আজ শহীদ মীর নেসার আলী তিতুমীরের শাহাদাত বার্ষিকী
১৮৩১ সালের ১৯ নভেম্বর ভারতবর্ষের তৎকালীন গভর্নর জেনারেল লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক তিতুমীরকে শায়েস্তা করার জন্য এক বিরাট সেনাবহর এবং গোলন্দাজ বাহিনী পাঠান। এর নেতৃত্বে ছিলেন সেনাপতি কর্নেল স্টুয়ার্ড। ভোর হওয়ার আগেই স্টুয়ার্ড বাহিনী তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা আক্রমণ করে। স্টুয়ার্ডের ছিল হাজার হাজার প্রশিক্ষিত সৈন্য আর অজস্র গোলাবারুদ। তিতুমীরের ছিল মাত্র চার-পাঁচ হাজার স্বাধীনতাপ্রিয় সৈনিক। এঁদের কাছে কামান, গোলাবারুদ, বন্দুক কিছুই ছিল না। তবে মনে ছিল তাঁদের পরাধীন দেশকে স্বাধীন করার অমিত তেজ। তিতুমীর আর তাঁর বীর সৈনিকেরা প্রাণপণ যুদ্ধ করলেন। কিন্তু ইংরেজ বাহিনীর সামনে টিকতে পারলেন না। কিছুক্ষণের মধ্যেই ইংরেজ সৈনিকদের গোলার আঘাতে ছারখার হয়ে গেল নারকেলবাড়িয়ার বাঁশের কেল্লা। শহীদ হলেন অসংখ্য মুক্তিকামী বীর সৈনিক। শহীদ হলেন বীর তিতুমীর।
আজ থেকে প্রায় পৌনে দুশ বছর আগে তিতুমীর পরাধীন ভারতবর্ষের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছিলেন ইংরেজদের বিরুদ্ধে। ইংরেজদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার যুদ্ধে বীর তিতুমীরই হলেন বাংলার প্রথম শহীদ।


