চমক থাকছে জামায়াতের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায়
আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রায় এক বছর আগেই প্রাথমিকভাবে সব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এতে চমক হিসেবে প্রায় ৮০ শতাংশ আসনে নতুন প্রার্থীসহ তরুণদের প্রাধান্য দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকায় এখন তারা গণসংযোগসহ ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন।
সূত্র মতে, আগামী নির্বাচনকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে জামায়াত। বিভিন্ন জরিপ ও মাঠপর্যায়ের কার্যক্রমের প্রেক্ষিতে দলটির পক্ষে ব্যাপক জনসমর্থন বাড়ার তথ্য রয়েছে তাদের কাছে। সে অনুযায়ী আগামী নির্বাচনে জয়লাভের মধ্য দিয় সরকার গঠনের টার্গেট নিয়ে এগোচ্ছে দলটি। এজন্য ইসলামী ও সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আসন সমতা, প্রার্থিতায় বৈচিত্র্য আনাসহ নানা কৌশল অবলম্বন করছেন তারা।
গত সোমবার রাজধানীতে দলীয় এক অনুষ্ঠানে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে দেশ ও জাতির জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের আমির। এ নির্বাচনে সারাদেশে দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করতে সবাইকে সর্বশক্তি নিয়োগ করার আহ্বান জানান তিনি।
তবে এসব প্রার্থী চূড়ান্ত নয় বলে দলটির পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল। সে অনুযায়ী এবার আরো চমক নিয়ে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে জামায়াত। এতে বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, আলেম, পেশাজীবী, নারী ও ছাত্র নেতৃত্ব থেকে তরুণদের স্থান দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। নির্বাচন কমিশন থেকে তফসিল ঘোষণার আগেই তথা ডিসেম্বরের প্রথম দিকে এ প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে। আন্দোলনরত আট দলের সঙ্গে (দল আরো বাড়ার আভাস রয়েছে) আসন সমঝোতার ভিত্তিতেই নিজেদের প্রার্থী ঠিক করবে জামায়াত।
সূত্র মতে, আগামী নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে দলীয় নেতাদের বাইরেও বিশিষ্ট ব্যক্তি ও পেশাজীবীদের রাখার আভাস দিয়েছিলেন শীর্ষ নেতারা। গত ৪ নভেম্বর ওমরাহ পালন শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান জানিয়েছিলেন, আমরা এক বছর আগেই প্রার্থী তালিকা বিভিন্নভাবে আঞ্চলিক পর্যায়ে জানিয়ে দিয়েছি। চূড়ান্ত তালিকাটা সময়মতো আমরা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ঘোষণা করব।
দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের গতকাল মঙ্গলবার আমার দেশকে জানান, ডিসেম্বরের প্রথম দিকে বা তফসিলের আগে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। এতে আগে ঘোষিত তালিকায় পরিবর্তন আসতে পারে।
জামায়াতের বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, আগামী নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থী তালিকায় বেশ চমক থাকবে। এতে হিন্দুসহ বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধি থাকতে পারেন। একই সঙ্গে সাংবাদিকদের মধ্য থেকেও প্রার্থী হতে পারেন। বিভিন্ন পেশাজীবী এমনকি কয়েকজন নারীকেও প্রার্থী করার চেষ্টা চলছে। এছাড়া ছাত্রনেতৃত্ব বিশেষ করে চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদে নির্বাচিতদের মধ্য থেকে কেউ কেউ প্রার্থী হতে পারেন বলে আভাস পাওয়া গেছে। দলের বাইরে থাকা আসা প্রার্থীরা জামায়াতের দাঁড়িপাল্লা অথবা অন্য প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবেন। তবে পুরো বিষয়টিই দলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মেনে নির্ধারণ হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
সূত্র মতে, আগামী নির্বাচনকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে জামায়াত। বিভিন্ন জরিপ ও মাঠপর্যায়ের কার্যক্রমের প্রেক্ষিতে দলটির পক্ষে ব্যাপক জনসমর্থন বাড়ার তথ্য রয়েছে তাদের কাছে। সে অনুযায়ী আগামী নির্বাচনে জয়লাভের মধ্য দিয় সরকার গঠনের টার্গেট নিয়ে এগোচ্ছে দলটি। এজন্য ইসলামী ও সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আসন সমতা, প্রার্থিতায় বৈচিত্র্য আনাসহ নানা কৌশল অবলম্বন করছেন তারা।
গত সোমবার রাজধানীতে দলীয় এক অনুষ্ঠানে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে দেশ ও জাতির জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের আমির। এ নির্বাচনে সারাদেশে দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করতে সবাইকে সর্বশক্তি নিয়োগ করার আহ্বান জানান তিনি।


