কলারোয়া প্রতিদিন নিউজ ডেক্স

প্রয়াত মাওলানা শামীমের স্বরণে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে

বাংলাদেশ ইসলামী ২নং জালালাবাদ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড শংকরপুরের প্রয়াত জামায়াত নেতা মাওলানা শামীম হুসাইনের স্বরণে
আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশে
জামায়াতে ইসলামী ৪নং ওয়ার্ড শংকরপুর শাখার আয়োজনে শনিবার এশার নামাজের পরে শংকরপুর শাহী জামে মসজিদে এ আলোচনা সভা হয়।
উক্ত দোয়া ও আলোচনা অনুষ্টানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন- জামায়াতে ইসলামীর কলারোয়া উপজেলা শুরা সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যান মাষ্টার শওকাত আলী।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতের ইসলামি ২নং জালালাবাদ ইউনিয়ন আমির ও সিংহলাল দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা আঃ মোনায়েম,বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কলারোয়া উপজেলা শাখার নির্বাহী সদস্য মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, মানব কল্যাণ তহবিলের পরিচালক বিশিষ্ট ব্যাংকার মোঃ জাকির হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন-৪নং ওয়ার্ড সভাপতি মোঃ আলফাজ রহমান।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন,
জালালাবাদ ওয়ার্ডে জামায়ের সভাপতি আহসান হাবিব মন্টু স্যার,৪নং ওয়ার্ড সেক্রেটারী মাহমুদুল ইসলাম, যুব বিভাগের ইউনিয়ন সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন,ওয়ার্ড বায়তুল মাল সম্পাদক রেজওয়ান, যুবনেতা আমিনুর, আঃ ওহাব সহ অনেকে।বক্তারা বলেন,২০২৩ সালের ২মে সকাল ৮টায় ২৯ বছর বয়সে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের সময়ে শেষ ইউপি চেয়ারম্যান ইলেকশনের সময় আওয়ামী হায়েনারা চেয়ারম্যান প্রার্থী মাষ্টার শওকাত আলীর নমিনেশন প্রত্যাহারের হুমকি দিয়ে শামীমকে কলারোয়া উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে অপহরণ করে নিয়ে নির্মম নির্যাতন করে মৃত মনে করে ফেলে রেখে যায়,সংবাদ পেয়ে দলীয় নেতাকর্মী ও তার পিতা উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সিবি হাসপাতালে ভর্তি করে।মাওলানা শামীমের হাত ও পা ভেঙ্গে দেওয়া হয়,মাথা ও মাঝা ইটের পরে ইট রেখে থেতলে দেওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে কিছুটা সুস্থ রিলিজ হলেও কিডনিতে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয়,অবশেষে কিডনি ড্যামেজ হয়েই শেষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। ৫ই আগষ্টের পরে শামীমের পরিবার বাদি থানায় একটা মামলা করে, সেই মামলার আসামিরা বুক ধরফে ঘুরে বেড়াচ্ছে এলাকায় সবার চোখের সামনেই কিন্তু প্রশাসনের গ্রেপ্তারের তেমন কোন ভুমিকা না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বক্তারা ও শামীমের পরিবার।
বক্তারা আরও বলেন মাওলানা শামীম ছিল ইসলামি আন্দোলনের একজন অকুতোভয় রাহবার, আমাদের জন্য শামীম ছিল এক অনুপ্রেরণা মহান রব্বুল আলামীন যেন শামীমকে শহীদ হিসেবে কবুল করে নেয়।
এছাড়া বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং অসুস্থদের সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইউনিয়ন পেশাজীবি দায়িত্বশীল আঃ জলিল।



মন্তব্য করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *