কলারোয়ায় পাট চাষের ব্যাপক কর্মসূচি সোনালী স্বপ্ন দেখছে চাষী

প্রচন্ড তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ এক পচলা বৃষ্টিতে যেন স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে। পাট চাষীরা সোনালী স্বপ্নে আশায় বুক বাঁধছে ফিরে পেয়েছে মনের তৃপ্তি। মাঠের ফসল সতেজ হয়ে উঠতে শুরু করেছে। যে দিকে তাকাই সেদিকে সবুজ আর সবুজ।এ যেন সমস্ত মাঠ ভরে সবুজের সমারোহ। আর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পর সূর্যের আলোয় পাটের চারা গাছ গুলো বাতাসে উঁকি মারছে আকাশের দিকে। আর ফসলের মাঠে দৃশ্য দেখে কৃষকের চোখে মুখে আনন্দ ও স্বস্তির ছাপ। এদিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে জেনেই চাষীরা তড়িঘড়ি করে পাট গাছের পরিচর্যার কাজ শেষ করেছে।
পাট বাংলাদেশের একটি অর্থকরী ফসল। এই পাট বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকে দেশ। তাই আমাদের দেশে পাটকে সোনালী আঁশ বলা হয়। শুধু বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয় না। এই পাটের পাতা আমরা সবুজ শাক হিসেবে রান্না করে খেয়ে থাকি। আর পাটখড়ি দিয়ে গ্রামে মায়েরা উনুন ধরানোর কাজে ব্যবহার করে । এ ছাড়া এই পাটখড়ি দিয়ে পারটেক্সসহ অন্যান্য জিনিস তৈরি হয়।
গতবছর কৃষক পাটের ভালো দাম পেয়ে এবার মন খুলে চাষ করেছে । ভালো দাম দাম পাওয়ার আশায়। পাট গাছ সাধারণত ১০/১২ হাত লম্বা হয়। এই পাট বিভিন্ন জাতের হয়ে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে দেশীয় জাতের ও রয়েছে। নতুন বৃষ্টিতে পাটের গাছ গুলো সতেজ তরুতাজা হয়ে বেড়ে উঠছে । আর এই চারা গাছ গুলো যখন বাতাসে দুলছে, তা দেখে কৃষকেরা মনে মনে নতুন দিনের স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে।
আর অল্প সময়ের মধ্যে চাষীরা তাদের অর্জিত স্বপ্নের ফসল পাট কাটতে শুরু করবে। তারপর নদী ,খাল অথবা ডুবায় পানিতে ডুবিয়ে রেখে পচে গেলে ১০/১৫ দিন পর গাছ থেকে আঁশ ছাড়িয়ে নিতে হবে। বাঁশের ভারায় রৌদ্রে শুকিয়ে পাওয়া যাবে সোনালী আঁশ । যা বিক্রি করে তারা অনেক টাকা ঘরে তুলতে পারবে । আর এই বৃষ্টিই যেন আজ চাষীদের মুখে হাসি ও মনে আনন্দ এনে দিয়েছে। সুদিনের অপেক্ষায় আশায় বুক বেঁধেছে পাট চাষীরা।
উপজেলার শাকদাহ গ্রামের চাষী আজিজুল হক জানান, আমি তিন বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। ভালো ফলন হবে মনে হয়। পানিকাউরিয়া গ্রামের চাষী ডাঃ ছদরুল জানান, আমার ৫ বিঘা জমিতে পাট রয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবার আরো ভালো হয়েছে। ভালো দাম পাবো বলে আশা করছি।
কলারোয়া উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মোঃ জিয়াউল হক জানান, এবার উপজেলায় পাট চাষ হয়েছে ৩২শ ৫৫ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯৭শ ৬৫ মেট্রিক টন । জি আর ৫২৪, বঙ্কিম ও মহারাষ্ট্র এই তিন জাতের পাট চাষ করা হয়েছে। কিছুদিন আগে প্রচন্ড তাপদাহে গাছের খুব একটা সামস্যা হয়নি । এখন আবহাওয়া অনুকূল হওয়ায় পাটের গাছ সবুজ সতেজ হয়ে উঠেছে। রোগ বালাই কম তাই চাষীরা আশানুরূপ ফলন পাবে।
