কলারোয়ায় চাষীরা কুল গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন
 
            
                     
                        
       		সাতক্ষীরা জেলার মধ্যে কলারোয়া উপজেলা কুল চাষের ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। আর এখানকার কুল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ হয়ে থাকে। এখানকার মাটি ভালো তাই কুলগুলো খেতে খুব সুস্বাদু।এই কুল চাষ করে এলাকার চাষীরা আথনৈতিক ভাবে সাবলম্বী হচ্ছে । যার কারণে চাষীরা অন্য ফসলের চেয়ে কুল চাষে দিন দিন ঝুঁকে পড়ছে।কুল বিক্রি করে তারা লাভবান হওয়ার কারণে অনেকে ধানের জমিতে কুল চাষ করছে।
কলারোয়ার কুল চাষীরা এখন তাদের গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে। প্রথমে গাছের ডাল ছাঁটাই এবং ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার করে। পরে গাছের গুড়ায় সার ও কীটনাশক ব্যবহার করে গাছ সতেজ পরিপুষ্ট করে তোলে। চাষীরা দীর্ঘ ৬ মাস ধরে তাদের কুল গাছের পরিচর্যা করে যাবে। তারপর গাছ গুলো যখন ফুলে ফুলে ভরে উঠবে তখন আর কোন কীটনাশক ব্যবহার করবে না।কুল একটু বড় হলেই আবার পরিচর্যা শুরু করবে চাষীরা।এ সময় তারা গাছে বালাইনাশক ব্যবহার করবে। আস্তে আস্তে কুলের বৃদ্ধি ও পরিপুষ্ট আকার ধারণ করলে তখন সে গুলো বাজারজাত করার প্রস্তুতি নিবে।
কলারোয়া উপজেলায় বেশ কয়েকটি কুলের বাজার রয়েছে। এর মধ্যে সিংগারমোড় ও বেলতলা বাজার সবচেয়ে প্রসিদ্ধ। মৌসুমে এই দুইটি বাজার থেকে প্রতিদিন শতশত কার্টুন ভর্তি কুল পিকআপ ও ট্রাক দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করে থাকে।তা থেকে চাষীরা তাদের কষ্টে অর্জিত অর্থ ঘরে তোলে। এভাবে প্রতি মৌসুমে কুল বেচাকেনা হয়।এতে করে এলাকার চাষীরা আথনৈতিক ভাবে সাবলম্বী হয়ে উঠছে এবং অনেকের কর্মসংস্থান হচ্ছে।
কলারোয়া উপজেলার অধিকাংশ মাঠে কুল চাষ হয়ে থাকে। এর মধ্যে সিংগারমোড় সংলগ্ন মাঠ,হুলহুলিয়া,কিসমত ইলিশপুর, কাজিরহাট এলাকায় আটুলিয়া ও ধানঘোরা মাঠের নাম উল্লেখ করা যায়। উপজেলার পূর্বকোটা গ্রামের চাষী আরিফুল ইসলাম বলেন , আমি এবার ১১ বিঘা জমিতে কুল চাষ করেছি। নিয়মিত ভাবে গাছের পরিচর্যা করে যাচ্ছি, আশা করি ভালো ফলন পাবো। সিংগা গ্রামের চাষী আব্দুল্লাহ আল জোবায়ের জানান ,আমার এবার ৭ বিঘা জমিতে কুল আছে। গাছ গুলোতে সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করছি। গত বছরের তুলনায় এবার ভালো ফলন পাবো বলে আশা করি।
কলারোয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ এনামুল হক জানান, এবার উপজেলায় কুল চাষ হয়েছে ৪৭২ হেক্টর জমিতে। সাধারণত এই উপজেলায় বিভিন্ন জাতের কুল চাষ করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে এবার চাষ হয়েছে বলসুন্দরী, থাই, আপেল, টককুল ও নারিকেল কুল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফলন হবে বলে আশা করা যায়। আর ভালো দাম পেলে এ চাষের প্রতি কৃষকের আগ্রহ আরও বাড়বে।



 
	