ঋণ বিতরণ অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তে কলারোয়ার খোর্দ্দ কৃষি ব্যাংকে আসছে ভিজিল্যান্স টিম
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার খোর্দ্দ কৃষি ব্যাংক শাখায় ঋণ বিতরণে অনিয়ম, কাগজপত্র জালিয়াতি ও ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ তদন্তে আগামী ১৫ ডিসেম্বর (সোমবার) ব্যাংকের প্রধান শাখার নির্দেশে একটি ভিজিল্যান্স টিম তদন্তে আসছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই খোর্দ্দ কৃষি ব্যাংকে অফিসার হিসেবে যোগদান করেন মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন (আইডি নং– জে-৮৪১)। যোগদানের পর থেকে তিনি আত্মীয়তার প্রভাব খাটিয়ে ঋণ বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়ান বলে অভিযোগ উঠেছে। দেয়াড়া ইউনিয়নের রুহুল আমিন গাজীর স্ত্রী মঞ্জুয়ারা বেগম তার ফুফু হওয়ায় পরস্পর যোগসাজশে ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত শতাধিক ঋণ বিতরণ করা হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রতি এক লক্ষ টাকা ঋণের বিপরীতে সাত হাজার টাকা করে ঘুষ নেওয়া হয়েছে। প্রকৃত ও যোগ্য কৃষক ও ব্যবসায়ীদের বাদ দিয়ে ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে এসব ঋণ দেওয়া হয়, যা বর্তমানে অনাদায়ী ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এসব ঋণ স্থানীয়ভাবে “ফুফু লোন” নামে পরিচিত।
ভুক্তভোগীরা জানান, ঋণ নেওয়ার সময় পাঁচ বছরের মেয়াদ বলা হলেও বর্তমানে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ঋণ পরিশোধে চাপ দিচ্ছেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানালেও তারা বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে মঞ্জুয়ারা বেগমের স্বামী রুহুল আমিন গাজীর বিরুদ্ধে ঋণ খেলাপি মামলা দায়ের করেছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।


