আল্লাহর ভালোবাসা পায় যারা

আল্লামা ইবনুল কাইয়্যুম (রহ.) মহান আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়ার দশটি আমল উল্লেখ করেছেন। সেগুলো যথাযথভাবে পালন করতে পারলে মহান আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়া সম্ভব।

এক. গভীর মনোযোগের সহিত পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করা এবং কোরআনের অর্থ ও উদ্দেশ্য বোঝার চেষ্টা করা।

দুই. ফরজ নামাজের পর নফল নামাজ আদায়ের মাধ্যমে মহান আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের চেষ্টা করা।

তিন. জবান, অন্তর ও অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মাধ্যমে সবসময় মহান আল্লাহর জিকির করা।

চার. বান্দা যা ভালোবাসে এবং আল্লাহ যা ভালোবাসেন, এ দুটি ভালোবাসা সাংঘর্ষিক হলে আল্লাহর ভালোবাসাকেই প্রাধান্য দেওয়া।

পাঁচ. মহান আল্লাহর সুন্দর সুন্দর নাম, তার সুউচ্চ গুণাবলি এবং সেটার বড়ত্ব, মর্যাদা ও প্রশংসনীয় ফলাফল নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করা।

ছয়. মহান আল্লাহর প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য নিয়ামতগুলো নিয়ে চিন্তা-গবষেণা করা এবং বান্দাদের ওপর তার দয়া, অনুগ্রহ ও নিয়ামতগুলো গভীর দৃষ্টিতে প্রত্যক্ষ করা।

সাত. মন-প্রাণ উজাড় করে মহান আল্লাহর সামনে কাকুতি-মিনতি করা এবং নিজের সকল প্রয়োজন আল্লাহর কাছে তুলে ধরা।

আট. রাতের শেষ তৃতীয়াংশে নির্জনে মহান আল্লাহর নিকট কান্নাকাটি, দোয়া এবং কোরআন তেলওয়াত করা। ক্ষমা প্রার্থনা এবং তওবার মাধ্যমে শেষ রাতের আমলের সমাপ্তি করা।

নয়. মহান আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের সঙ্গে ওঠা-বসা করা এবং তাদের উপদেশ-নসিহত ও কথাবার্তা থেকে উপকৃত হওয়া।

দশ. মহান আল্লাহ ও বান্দার অন্তরের মাঝে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী প্রত্যেক জিনিস থেকে দূরে থাকা।

মহান আল্লাহর ভালোবাসার অন্যতম দাবি হলো তার রাসুলকে ভালোবাসা। ইমাম বোখারি ও মুসলিম (রহ.) আনাস (রা.) থেকে বর্ণনা করেছেন, হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না আমি তার নিকট তার পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি এমনকি দুনিয়ার সকল মানুষ হতেও অধিক প্রিয় হই।’ অর্থাৎ যে ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজের নফস এবং তার সর্বাধিক ঘনিষ্ঠ লোক থেকে বেশি ভালো না বাসবে, ততক্ষণ কেউ প্রকৃত ও পরিপূর্ণ মুমিন হতে পারবে না।



মন্তব্য করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *