প্রচন্ড তাপে কলারোয়ায় তাল শাঁসের কদর বেড়েছে

প্রচলিত বুলি ‘কাঁচা অবস্থায় খায়, পাকা অবস্থায় খায়, দীর্ঘদিন ফেলে রাখলেও খাওয়া যায়’ এমন বুলির সাথে জুড়ে আছে তালের কথা।
সারা দেশের মতো উপকূলজুড়ে যখন বইছে তাপপ্রবাহ ঠিক তখনই দিন-রাতের এই খরতাপ থেকে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে কলারোয়াম কদর বেড়েছে রসালো তালের শাঁসের। প্রচণ্ড গরমে মানুষের কাছে এ ফলটি খুবই প্রিয়। বৈশাখ থেকে জৈষ্ঠ্য মাসের অর্ধেক পর্যন্ত এ দেড় মাস চলে তালের শাঁস বিক্রির কাজ। বিক্রেতারা স্থানীয়ভাবে এগুলো সংগ্রহের পাশাপাশি দেশের নানা জায়গা থেকে আমদানিও করেন।
তালের শাঁসের গুণাগুণ সম্পর্কে পুষ্টিবিদদের মতে, এটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল। মৌসুমি ফল হিসেবে তাল শাঁস মানব দেহকে বিভিন্ন রোগ থেকে দুরে রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
রবিবার (১৯ মে) সরেজমিনে উপজেলার পৌর সদরে শহীদ মিনার চত্বরে সহ ১২ ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট বাজার, গ্রামগঞ্জের মোড়ে, রাস্তাঘাটে স্ট্যান্ডেউ, বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখা গেছে, সুস্বাধু এ ফলটির বিক্রিতারা হাঁসুয়া বা ধারলো দ্যা দিয়ে তাল কেটে তালের শাঁস বের করছেন আর ক্রেতারাও অনেক আগ্রহ নিয়ে এগুলো কিনছেন। মৌসুমি অনেক ফলের সাথে এ ফলের কদর বেড়েছে। যার ফলে বিভিন্ন শ্রেণির পেশার মানুষকে খেতে দেখা যায় এ সুস্বাধু তালের শাঁস।
উপজেলার হেলাতলা গ্ৰামের তালশাঁস বিক্রেতা সলেমা আলী বলেন, তাল যখন কাঁচা থাকে,তখন বাজারে এটা পানি তাল হিসেবেই বিক্রি হয়। কেউ বলে তাল শাঁস আবার কেউ বলে তালের চোখ, কেউ বলে তালকুরা।
তিনি বলেন, প্রতিটি তালের ভিতর দুই থেকে তিনটি শাঁস থাকে এবং প্রতিটি তাল গড়ে ৮ থেকে ১২ টাকায় বিক্রি হয়। প্রতিটি তালের পাইকারি কেনা দাম ৫ থেকে ৬ টাকা। গরম পড়লে তালের শাঁস অনেক বেশী বিক্রি হয়। প্রতি বছর আমি এ মৌসুমে তালের শাঁস বিক্রি করে থাকি।
আরো বলেন, প্রতিদিন তিনি ৫ থেকে ৬ শতাধিক তাল কেটে বিক্রি করেন। এ বছর প্রচন্ড তাপদাহে মানুষ শরীরের ক্লান্তি দুর করতে তালের শাঁস খাচ্ছেন। গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর বেশী বিক্রি হচ্ছে।
তাল শাঁস কিনতে আসা লিপি খাতুন, ইমরান হোসেনসহ কয়েকজন জানান, অনেক ফল যখন ফরমালিনের বিষে নীল, তখন তালের শাঁসে ফরমালিনের ছোয়া লাগেনি। এ জন্য প্রতি বছর আমরা ও আমাদের পরিবারের সকলে খায়। এগুলো খেতে নরম ও সুস্বাধু এবং শরীরের জন্য খুবই পুষ্টিকর।
