ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে ধ্বংসস্তূপে পরিনত হাতিয়া, জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত নিঝুমদ্বীপ
ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে ও জলোচ্ছ্বাসে ধ্বংসস্তূপে পরিনত হয়েছে নোয়াখালীর হাতিয়া উপকূলীয় এলাকা। অন্যদিকে বেডড়িবাঁধ না থাকায় অস্বাভাবিক সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে রবিবার রাতে নিঝুম দ্বীপের পুরো এলাকা পাঁচ থেকে সাত ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
জোয়ারে ও বাতাসে অধিকাংশ কাঁচাঘর বিধ্বস্ত হওয়ায় নিঝুম দ্বীপের প্রায় ১০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এছাড়া হাতিয়ার জনবসতিপূর্ণ চরাঞ্চল চর ঘাসিয়া, ঢালচর, বয়ারচর, সুখচর, নলচিরা, সোনাদিয়া, চর ঈশ্বর ও কেরিং চরের বিস্তির্ণ এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
এতে সমগ্র হাতিয়ার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বিস্তীর্ণ জনপদে এখন শুধু ধ্বংসের চিহ্ন ভেসে উঠেছে। নিঝুম দ্বীপের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া হাজার হাজার লোকজনকে স্থানীয় এমপি মোহাম্মদ আলীর নির্দেশে নিঝুম দ্বীপের চেয়ারম্যান দিনাজ উদ্দিন রবিবার রাতে খিচুড়ি ও শুকনো খাবার সরবরাহ করেছেন।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশীষ চাকমা জানান, সোমবার সকাল থেকে নিঝুম দ্বীপসহ অন্যান্য এলাকার পানি কমতে শুরু করলেও এখনো বাতাসের বেগ বৃদ্ধি এবং ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্যাদি সংগ্রহ করা যায়নি বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তবে ঘর বাড়ি, গাছপালা, ফসলাদি, পুকুর, রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তিনি।
হাতিয়ার সঙ্গে বাইরের সব নৌ-যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে এবং গতকাল থেকে হাতিয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
হাতিয়ার এমপি মোহাম্মদ আলী ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার লোকজনের জন্য ত্রানসামগ্রী বরাদ্দ এবং জরুরি ভিত্তিতে বেডড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য সরকারের কাছে দাবি করেছেন