স্বর্নের গহনার জন্য প্রান গেল অবুঝ শিশুর নিখোঁজের পর মিলল মরদেহ

নিখোঁজের ১৩ ঘণ্টা পর শিশু সাদিয়া খাতুনের (৭) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে বাড়ির পাশে একটি বাগান থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত সাদিয়া খাতুন যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়নের মাটিকোমরা গ্রামের বাবলুর রহমান বাবুর মেয়ে। সে স্থানীয় নায়ড়া মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতো।
নিহতের বাবা পেশায় দিন মজুর।

এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হত্যাকারি হিসেবে প্রতিবেশী চম্পা খাতুনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা। ধারণা করা হচ্ছে ওই শিশুর কানে ও গলায় থাকা স্বর্ণের গহনার লোভে পরিহিত জামা গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত শিশুর দাদা ফজলুর রহমান জানান, মঙ্গলবার দুপুর থেকে সাদিয়াকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।অনেক খোঁজাখুজির পর ঝিকরগাছা থানায় একটি জিডি করা হয়। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায় সাদিয়াকে তার প্রতিবেশী ফুফু চম্পার সঙ্গে দেখা গেছে।

সন্দেহজনক আসামি হিসেবে গ্রামবাসী চম্পাকে রাতেই ঝিকরগাছা থানায় সোপর্দ করে। এরপর রাত ১২ টার দিকে বাড়ির পাশে একটা বাশ বাগান থেকে সাদিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়।

ঝিকরগাছা থানার ওসি বাবলুর রহমান খান জানান, মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে হঠাৎ করে নিখোঁজ হয় সাদিয়া। খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে তার বাবা থানায় অভিযোগ করেন। এসময় তারা চম্পা খাতুনের ওপর তাদের সন্দেহের কথা জানান। গ্রেফতারের পর তার স্বীকারোক্তিতে বাড়ির পাশের হারুন অর রশিদের বাগান থেকে শিশু সাদিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার পরনের গেঞ্জি দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য নিহত সাদিয়ার মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বল তিনি জানান।



মন্তব্য করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *