কলারোয়ার মাদরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের চাকরীর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন
তদন্ত স্থলে নিয়োগ ও যোগদান পত্র দেখাতে ব্যর্থতায় কলারোয়ার মাদরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফার চাকরীর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গত পরশু মঙ্গলবার ৩ ডিসেম্বর মদরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এইচ ,এম রোকনুজ্জামান এর তদন্তে এই তথ্য বের হয়ে পড়ে। সাতক্ষীরা জেলা অফিসারের স্মারক নং ৩৮.০১.৮৭০০.০০০.১৮.০১৩.২০২৪-২১৫৬ তাং ০৬-১১-২০২৪এর নির্দেশে এই তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাদরা গ্রামের মোঃ ইসহাক হোসেন এর পুত্র মনজুরুল হকের আবেদনে তদন্ত হয়েছে। তোদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানাই শিক্ষক গোলাম মোস্তফা তদন্ত স্থানে নিয়োগ ও যোগদান বা তার রেজুলেশন এবং তৎকালীন অফিসিয়াল অর্ডার দেখাতে পারেনি ।তবে এসব কাগজপত্র শিক্ষা অফিসে থাকতে পারে বলে তদন্তকারী শিক্ষা অফিসার উপস্থিত জনতাকে জানান।
অভিযোগকারী পক্ষ জানান গোলাম মোস্তফা ১৯৮৭ সালে এসএসসি পাশ করে একই বছর ১লা জুলাই ১৬ বছর ৭মাস বয়সে বেআইনি ভাবে তৎকালীন মাদরা রেজিঃ প্রাইমারিতে সহকারী শিক্ষক হিসাবে যোগদান, চাকরী স্থলে পাঠদানের পাশাপাশি নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসাবে কলারোয়া সরকারি কলেজ থেকে যশোর বোর্ডে ১৯৮৭- ১৯৮৮ শিক্ষাবর্ষে রেজিস্ট্রেশন নং-১৫২৫৬,রোল নং -২৬৩৭২, ১৯৮৯ সালে এইচএসসিতে কমপ্লার্টমেন্ট (রিপার্ট )পায় এবং রিপার্ট পরীক্ষা দিয়ে ১৯৯০ সালে পাশ করার তথ্য তুলে ধরেন। পরে জালিয়াতির মাধ্যমে বৈধ ভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত বিএ পাস প্রধান শিক্ষককে সরিয়ে এইচএসসি পাস গোলাম মোস্তফা নিজেকে প্রধান শিক্ষক হিসাবে দেখানোর তথ্য তুলে ধরা হয় বলে তদন্ত স্থলে উপস্থিত একজন সাংবাদিক জানান। এইসব ঘটনায় এই শিক্ষকের চাকরির বৈধতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এদিকে২০১৩ সালে চাকরী জাতীয়করণের সময় মোটা টাকায় উপজেলা অফিসের তৎকালীন ক্লার্কের সহায়তায় বিষয়গুলো ধামাচাপা দিয়ে পার পেয়ে যায়। বলে সূত্র জানায়।তদন্তকারী কলারোয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার এইচ এম রোকনুজ্জামান এ ব্যাপারে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।