সাতক্ষীরায় শহীদ পরিবারের মাঝে উপহার প্রদান ও নবনির্বাচিত আমীরদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত

সাতক্ষীরা জেলায় ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে রক্তস্নাত সাতক্ষীরার ৪৫ জন সম্মানিত শহীদ পরিবারের মাঝে উপহার প্রদান করেন জেলা জামায়াতে ইসলামী।

সোমবার ( ৯ ডিসেম্বর) বিকালে দলটির জেলা অফিস আল আমিন ট্রাস্ট মিলনায়তনে শহীদ পরিবারের হাতে এ উপহার তুলে দেন জামায়াত নেতৃবৃন্দ।

২য় পর্বে জেলার নবনির্বাচিত উপজেলা আমীরগণের শপথ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শহীদ পরিবারের মাঝে উপহার প্রদান ও নবনির্বাচিত আমীরদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক।

বিশেষ অতিথি ছিলেন ফরিদপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য মাওলামা মোহাম্মদ বদরুদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর মুহাদ্দিস রবিউল বাশার, নায়েবে আমীর মোঃ নুরুল হুদা প্রমূখ।

৭টি উপজেলা ও ১টি শহর শাখা মোট ৮টি শাখায় নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত আমীররা হলেন-

কলারোয়া মাওলানা কামারুজ্জামান, তালা মাওলানা মফিজুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সদর মাওঃ মোশাররফ হোসেন, শহর জাহিদুর রহমান, আশাশুনি তারিকুজ্জামান তুশার, দেবহাটা মাওঃ ওলিউল ইসলাম, কালীগঞ্জ মাওঃ আব্দুল ওহাব ছিদ্দিকী ও শ্যামনগরে মাওঃ আব্দুর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক বলেন, জামায়াতে ইসলামী এদেশের সবুজ ভূখন্ডে ইসলামের আলোকে ইনসাফ ভিত্তিক শান্তিময় সমাজ বিনির্মানে কাজ করছে। প্রিয় জন্মভূমিকে একটি আদর্শিক কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে আমাদের সকল স্তরের নেতাকর্মীরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি বলেন এদেশে প্রচলিত অনেক দলই রাজনীতি ও পদপদবিকে নিজেদের ব্যক্তিগত উন্নতির সোপান এবং নিরীহ মানুষকে হয়রানির হাতিয়ার মনে করে। কিন্তু আমাদের কাছে যে কোন দায়িত্ব বা ক্ষমতা হচ্ছে আল্লাহ প্রদত্ত আমানত। এর সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে কাজ করতে হবে। তিনি নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তদের উদ্দেশ্যে সতর্কতার সাথে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেন জামায়াতের যে কোন পোস্টে পদায়ন হওয়া মানে আপনার দায়িত্ব ও জবাবদিহিতার মাত্রা বেড়ে যাওয়া।

জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর উপাধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম মুকুল বলেন, দায়িত্ব আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে। এই দায়িত্ব আমানত হিসেবে গ্রহণ করে ঈমানদারীর সাথে পালন করা আমাদের কর্তব্য। দেশ ও জাতি সৎ ও যোগ্য মানুষ খুঁজে বেড়াচ্ছে। জামায়াত সেই মানুষ তৈরীর কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের গণ প্রত্যাশা পূরণে ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখতে হবে।

সবাইকে সংকীর্ণমনতা ও ব্যক্তি স্বার্থ পরিহার করে দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে কাজ করার আহ্বানও জানান তিনি।

 



মন্তব্য করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *