আশাশুনির জনবসতিতে একেএস ইটভাটায় জ্বলছে কাঠ-টায়ার, হুমকিতে পরিবেশ

পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই আশাশুনি উপজেলার বড়দলে মেসার্স এ কে এস ব্রিকসে প্রকাশ্যে কাঠ ও টায়ার জ্বালানো হলেও দেখার কেউ নেই। অবৈধ ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্ট নির্দেশ দিলেও তা মানা দূরে থাক ইটের মৌসুমের শুরু থেকেই ভাটাতে কাজ কাঠ ও টায়ার জ্বালানো হচ্ছে জোরেশোরে।
ভাটার ম্যানেজার নিলকান্ত সাংবাদিকদের জানান, ম্যানেজ করেই চলছে ভাটার কার্যক্রম। কয়লার দাম বাড়তি থাকায় ম্যানেজ করে লাকড়ি-কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছে।
এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে ফসলি জমি, বৃক্ষ ও প্রাকৃতিক পরিবেশ। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকলেও কিভাবে ভাটা চলছে সহজ হিসেব খুজে মিলছেনা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেইন রাস্তার ধারেই বহু কাঠ জমা করে রাখা আছে। ভাটার চারপাশে মজুত করে রাখা হয়েছে কয়েকশ মন লাকড়ি। ভাটাতে কাঠ পোড়ানোর ফলে চিমনি দিয়ে কালো কুন্ডলীর ধোঁয়া বের হচ্ছে। আর সেই ধোঁয়া স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ আশপাশের বসতি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইনে লাইসেন্স ব্যতীত কোনো ইটভাটা স্থাপন ও পরিচালনা করা যায় না এবং জ্বালানি হিসেবে ইটভাটায় কাঠের ব্যবহার নিষিদ্ধেরও বিধান রয়েছে। কিন্তু এখানে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে আমসহ বিভিন্ন গাছের কাঠ।
পরিবেশ অধিদপ্তর সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম সায়বাদিকদের জানান, এসব ভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের হালনাগাদ ছাড়পত্র নেই। অবৈধ ইটভাটা বন্ধে জেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। এ ছাড়া অবৈধ ইটভাটা বন্ধে উচ্চ আদালতের নির্দেশনার বিষয়টি অবগত স্থানীয় প্রশাসন। খুব শ্রীঘ্রই এসব ইটভাটা বন্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, অবৈধ ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনা আছে। আশাশুনি ইউএনওকে এসব ইটভাটা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হবে।



মন্তব্য করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *