হরিণ নিধন কল্পে সচেতনতা সভায় বক্তারা

সুন্দরবনের হরিণ রক্ষায় মৎস্যজীবী ও বনজীবীদের সচেতনতা জরুরী

সুন্দরবন দেশের জাতীয় সম্পদই নয়, এটি দেশের জাতীয় বনের মর্যাদাও পেয়েছে। সেই সুবাদে অরণ্যটির গুরুত্বও ব্যাপক। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে সুন্দরবনের জীববৈচিত্রও দুর্লভ। সুন্দরবনে প্রায় ৩০০ প্রজাতির প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্রাণী হচ্ছে চিত্রল হরিণ। সুন্দরবনের আর্কষণীয় প্রাণীদের মধ্যে বাঘ এবং চিত্রল হরিণ অন্যতম। বাঘের সংখ্যা অপ্রতুল হলেও হরিণের সংখ্যা প্রচুর। এই হরিণ রক্ষায় সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল বনজীবীদের ও মৎস্যজীবীদের সচেতনতা খুবই জরুরী।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকাল চারটায় সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ আয়োজিত ‘হরিণ নিধন কল্পে সচেতনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।

সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কদমতলা ফরেস্ট স্টেশন ও কৈখালী ফরেস্ট স্টেশনের বাস্তবায়নে শ্যামনগরের হরিনগর বনশ্রী শিক্ষা নিকেতন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় স্থানীয়দের মধ্য থেকে উঠে আসে, সুন্দরবনে ভালো নেই মায়াবি হরিণ। বন্য এ প্রাণীটি চোরা শিকারি ও পাচারকারীদের প্রধান টার্গেটে পরিণত হয়েছে। ফাঁদসহ নানা কৌশলে সুন্দরবনে হরিণ শিকার করেন তারা। সাম্প্রতিক সময়ে উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে সুন্দরবনে হরিণ শিকার।

বনশ্রী বিদ্যানিকেতনের সহকারী প্রধান শিক্ষক জি.এম ফরিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও কদমতলা স্টেশন কর্মকর্তা মোঃ সোলায়মানের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন, মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মোড়ল, সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা এবিএম হাবিবুল ইসলাম,,সার্জেন্ট মামুন, কৈখালী স্টেশন কর্মকর্তা একেএম আব্দুস সুলতান প্রমূখ।

এছাড়াও হরিণ নিধন কল্পে সচেতনতা এ আলোচনায় চুনকুড়ির টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্বজল মুখার্জি, সুন্দরবন প্রেসক্লাবের সভাপতি বেল্লাল হোটেল, মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের জামায়াতের আমির আবুল হোসেন, সাবেক আমির আব্দুল রাজ্জাক, টাইগার টিমের সঞ্জিত কুমার মন্ডল, বিএনপি নেতা আমির হামজা, সাবেক মেম্বার ফজলুল হকসহ স্থানীয় জেলে বাওয়ালিরা উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *