ক্ষতিপূরণের দাবিতে যশোর আইটি পার্কে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

হাইটেক পার্ক অথরিটির এমডির পদত্যাগ, ফ্যাসিস্ট সরকারের দালাল টেকসিটির কার্যক্রম বন্ধ, ভাড়া কমানো, বিনিয়োগকারীদের ব্যবসায়িক ক্ষতিপূরণ, ভৌতিক বিদ্যুৎ বিলের সমাধান, পার্কে ব্যবসায়িক পরিবেশ সৃষ্টির দাবিতে যশোর-খুলনা মহাসড়কে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন বিনিয়োগকারীরা।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) পার্কের উত্তর গেট সংলগ্ন যশোর-খুলনা মহাসড়কে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন তারা। বিনিয়োগকারীদের দাবি, অবিলম্বে হাইটেক পার্ক অথরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম আমিরুল ইসলামের পদত্যাগ, ফ্যাসিস্ট সরকারের দালাল টেকসিটির কার্যক্রম বন্ধ, ভাড়া কমানো, ভৌতিক বিদ্যুৎ বিলের সমাধান এবং বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণ প্রদান।

বিক্ষোভ সমাবেশে যশোর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক ইনভেস্টরস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে ৩৫টি কোম্পানির মালিক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা অংশ নেন। এসব দাবিতে প্রথমে তারা মিছিল করেন এবং পার্কের এমটি বিল্ডিং-এর সামনে শ্লোগান দেন। পরে তারা খুলনা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে তাদের দাবি তুলে ধরেন।

বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, ৬ মাস আগে ফ্যাসিস্ট সরকারের দালাল টেকসিটির কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার ঘোষণা দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। বরং হাইটেক পার্ক অথরিটির এমডি আমিরুল ইসলাম বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করে দালাল টেকসিটির সঙ্গে মিটিং করেছেন। তারা আরও বলেন, পার্কে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান ও ব্যবসায়িক পরিবেশ সৃষ্টির কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আহসান কবীর, সহসভাপতি ইমানুর রহমান ইমন, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ শাহজালাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ নাহিদুল ইসলাম এবং বিনিয়োগকারী জাকারিয়া হোসেন শুভ ও ভিক্টর সাহা। সভাপতিত্ব করেন বিক্ষোভ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক পারভেজ মাহমুদ হিরা।

বক্তারা দাবি করেন, টেকসিটির দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারা বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের বন্ধু ওয়াহেদ শরীফের প্রভাবের কারণে টেকসিটির কার্যক্রম বন্ধ করা সম্ভব হয়নি।

বিক্ষোভকারীরা তাদের ১০ দফা দাবির মধ্যে স্পেস রেন্ট ও বিদ্যুৎ বিল যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসা এবং ভৌতিক বিল প্রত্যাহারের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে টেকসিটির কার্যক্রম বাতিলের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।

এর আগে বিনিয়োগকারীরা তাদের দাবিসমূহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি পেশ করেছিলেন। তবে দাবিগুলো এখনো বাস্তবায়িত হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন তারা।



মন্তব্য করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *