যশোর কারাগারে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু

যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদী আসামি এনামুল হক (৬৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। যশোর জেনারেল হাসপাতালে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে ১১ টা ২০ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি যশোরের চাঞ্চল্যকর মফিজ হত্যা মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার শরিফুল আলম।

এনামুল যশোর সদর উপজেলার চানপাড়া গ্রামের মফজেল বেড়ের ছেলে।

কারাগার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এদিন সকালে এনামুল বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করলে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে জরুরি ভিত্তিতে যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। এরপর চিকিৎসার জন্য তাকে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি বেলা ১১ টা ২০ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর কারণ হার্ট অ্যাটাক বলে জানান কারাগারের জেলার শরিফুল আলম।

এদিকে, আদালত ও থানা সূত্র জানায় ২০১১ সালের ২২ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে মফিজুর রহমান তার হেলপার নয়নকে নিয়ে পুরাতন কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড (মনিহার মোড়) থেকে হামিদপুর গ্রামে বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে হামিদপুরে তার হেলপার নয়নকে নামিয়ে দিয়ে তিনি বাড়ির দিকে চলে যান। এরপর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। ২৪ জুন সকালে হামিদপুর গ্রামের ময়লাখানার পাশের একটি পুকুর থেকে মফিজুর রহমানের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পরবর্তিতে এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আয়েশা বেগম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাত আসামি দিয়ে মামলা করেন। এ মামলায় গত বছরের ২০ মে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক ফারজানা ইয়াসমিন পাঁচ আসামির ফাঁসির আদেশ দেন।

এ মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রপাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন, যশোর সদর উপজেলার হামিদপুর বিশ্বাসপাড়ার মকছেদ আলী বিশ্বাসের ছেলে ইকতিয়ার বিশ্বাস, মান্দারতলা গ্রামের বাসিন্দা ও মণিরামপুর উপজেলার লক্ষনপুর গ্রামের মৃত হাছিম সরদারের ছেলে খোরশেদ আলম , হামিদপুর দক্ষিণপাড়ার জালাল উদ্দিনের ছেলে কাজল ও যশোর সদর উপজেলার ধানঘাটা গ্রামের বলরাম ঘোষের ছেলে গোপাল ঘোষ। এনামুলের মৃতদেহ পরিবারের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।



মন্তব্য করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *