ফুলের রাজ্য গদখালীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা

ফেব্রুয়ারিতে ফুল ব্যবসায়িক বান্ধব মাস হিসেবে বিবোচিত হয়ে থাকে। এই ফেব্রুয়ারি মাস বসন্তের মাস, দেশের সবচেয়ে বৃহৎ ফুলের রাজধানী হিসেবে খ্যাত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালি।
ফেব্রুয়ারি জুড়ে বসন্ত ও এই মাসে পরপর দুটি দিবস রয়েছে, বিশ্ব ভালবাসা দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এই দিবস গুলোকে সামনে রেখে গদখালী ফুলচাশীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন এবং এই মাসে এই তিনটি দিবসে শত কোটি টাকার ফুল বিক্রির আশা করছেন স্থানীয় ফুল চাষী ও বিক্রেতারা।
বাণিজ্যিকভাবে ফুলের চাষ হচ্ছে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালীর পানিসারা, হাড়িয়া, বায়সা ও এর আশপাশের এলাকাগুলোতে, চাষকৃত গোলাপ, জারবেরা, গ্লাডিওলাশ, গাদা রজনীগন্ধা, লিলিয়াম, জিপসি, চন্দ্রমল্লিকা সহ নানা ধরনের ফুলের চাষ।
চলতি বছরে অতি বৃষ্টির কারণে, ফুল চাষে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, এ মাসে তিনটি দিবসকে সামনে রেখে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে স্থানীয় ফুল চাষীরা।
সোমবার সরে জমিনে, বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, মাঠ জুড়ে রংবেরঙের বিভিন্ন ফুলের সমারহ। চাষীরা ভুল পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন, দিবস পর্যন্ত ফুলে কোনরকম আগাছা, পোকামাকড় ও পচনরোধে নেয়া হচ্ছে বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ।
পানিসারা গ্রামের ফুল চাষী নাসির উদ্দিন বলেন, চলতি মাসে তিনটি দিবস সামনে রেখে, আমরা জোড়ালো প্রস্তুতি নিয়েছি এবং প্রস্তুতি অনুযায়ী ফুল বিক্রি করতে পারলে, ভালো দাম পাবো বলে আশা করছি।
হাড়িয়া গ্রামের ফুল চাষী আব্দুল আজিজ বলেন, আমরা যারা ফুল চাষ করি, তারা বিশেষ, বিশেষ দিবসে অধিক লাভের আশায় থাকি, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ফুল সবচেয়ে বিক্রি করে থাকি, সব কিছু ঠিকঠাক মত থাকলে আশা করছি, এ দিনে ভালো একটা মুনাফা অর্জন করতে পারব।
গদখালি ফুল চাষী ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর বলেন, বৃষ্টির কারণে দেরিতে হলেও, আশানুরুপ চাষাবাদ হয়েছে, আসন্ন দিবসকে সামনে রেখে, ফুল রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জোরে সোরে। ইতিমধ্যে ফুলের দাম বাড়তে শুরু করেছে এবং আরো বাড়বে। আসন্ন দিবসগুলোতে অন্তত শত কোটি টাকার ফুল বিক্রি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, গদখালী সহ যশোরে এবার ৬শ হেক্টর জমিতে ফুলের চাষ হয়েছে এবং ফুল চাষের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত প্রায় লক্ষাধীক মানুষ।
এই বসন্ত, ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ব্যাপক হারে ফুলের বাজার বসবে ও ফুল বিক্রি হবে এবং অর্থনৈতিক ভাবে অবস্থা উন্নতি হবে বলে, সংশ্লিষ্টরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
