কারাবন্দী জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের মুক্তির দাবিতে সাতক্ষীরায় স্মরণ কালের বিক্ষোভ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কারাবন্দী নেতা সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে সাতক্ষীরায় স্মরণ কালের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সাতক্ষীরায় এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা শহরের চারটা পয়েন্ট থেকে হাজার হাজার নেতা কর্মী সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মাঠে একত্রিত হলে জনসমুদ্রের রূপ নেয়।

সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল’র সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমানের সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন, সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও সাতক্ষীরা-২ সদর আসনের জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্য প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, সাবেক জেলা আমীর ও সাতক্ষীরার-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মুহাদ্দিস হাফেজ রবিউল বাশার, সাতক্ষীরার ৪ আসনের সাবেক সাংসদ কাজী নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম ১৩ বছরেরও অধিক সময় কারাগারে আটক আছেন। তাকে বারবার রিমান্ডে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি বেশ কয়েকবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে ন্যূনতম চিকিৎসা সেবাটুকুও দেওয়া হয়নি। দেশবাসী আশা করেছিল যে চরম জুলুম-নির্যাতনের শিকার এ টি এম আজহারুল ইসলাম স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশে মুক্তিলাভ করবেন। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের ৬ মাস ৯ দিন অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও তাকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলের বিচারিক কার্যক্রমগুলো সারাবিশ্বে বিতর্কিত, প্রশ্নবিদ্ধ ও প্রত্যাখ্যাত। স্বৈরাচারের আমলে গ্রেফতার আজহারুল ইসলামকে কারাগারে আটক রাখা তার প্রতি চরম জুলুম ও অন্যায় ছাড়া আর কিছুই নয়। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে তাকে এখনো আটক রাখায় জাতি বিস্মিত ও হতবাক।

বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপোষহীনভাবে ভারতীয় প্রভুত্ববাদ মেনে না নেওয়ায় বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ওপর নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়েছে। ক্যাঙারু বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের হত্যা ও কারান্তরীণ করা হয়েছে। তবে ৫ আগস্ট দেশ ফ্যাসিজম মুক্ত হওয়ার পর অনেকেই কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে। তবে জামায়াত নেতা আজহারকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না।

বক্তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি নিশ্চিত ও দলীয় নিবন্ধন এবং প্রতীক ফিরিয়ে দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।



মন্তব্য করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *