শার্শায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল আহত ফিড ম্যানেজারের

যশোরের শার্শায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে আহত রোকনুজ্জামান রোকন (৪৫) মারা গেছেন।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে বুধবার দুপুরের সময় যশোর -সাতক্ষীরা – নাভারন সড়কের কুচেমোড়া নামক এলাকায় কয়েকজন ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে তিনি মারাত্মক আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি দেখে সেখানকার চিকিৎসক তাকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
তার পারিবারিক সূত্র তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
নিহত রোকনুজ্জামান রোকন উপজেলা বাগআঁচড়া এলাকার মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি বাগআঁচড়া বাজারের নারিস ফিস ফিড ডিলারের দোকানের ম্যানেজার ছিলেন।
নিহতের পরিবার সুত্রে জানায়, রোকনুজ্জামান রোকন নাভারন ও উলাশী বাজারে ফিড কোম্পানির কালেকশন শেষ করে বাগআঁচড়ায় ফিরছিলো। পথিমধ্য নাভারন- সাতক্ষীরা সড়কের কুচেমোড়া নামক এলাকায় পৌছালে কয়েকজন ছিনতাইকারী তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে দেশীয় অস্ত্র রামদা এবং চাকু দিয়ে ভিকটমকে জখম করে ৮ লক্ষ টাকা ছিনতাই করে। ভিকটিমের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ধাওয়া করে ছিনতাইকারী হৃদয় হোসেন ও ফয়সালকে আটক করে গণধোলাই দেয়। ওপর দুইজন ছিনতাইকারী মোটরসাইকেল নিয়ে টাকাসহ পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজন রোকনকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ঘটনার পর শার্শা থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে হৃদয় ও ফয়সাল নামে দুইজনকে আটক করে। পরে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহযোগিতায় পালিয়ে যাওয়া আরও দুই আসামি তরিকুল ও রাব্বিকেও আটক করা হয়। পুলিশের অভিযানে ছিনতাই হওয়া ৮ লাখ ৩ হাজার টাকা উদ্ধার হয় এবং আসামীদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।
এদিকে শনিবার সকালে মরদেহ গ্রামের বাড়ি বাগআঁচড়া পৌঁছালে স্বজনদের আহাজারিতে এলাকার আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠে।পরে শার্শা থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করেন।
